মোবাইল চুরির অভিযোগে গত ৩০/১০/২০১৭ খ্রিঃ তারিখে ১১ বছরের শিশু তারেককে মুহুরীপাড়া আমতলী এলাকায় জনসম্মুখে নির্যাতন চালায় আকতার ও ফিরোজসহ ৫-৬ জন। তারা প্রথমে তারেককে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায় এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তারা আহত তারেককে প্রকাশ্যে পায়ুপথে গরম ডিম ঢুকিয়ে দিলে সে গুরুতর আহত হয় এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তারেককে গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। শিশুটির অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। উক্ত ঘটনায় শিশুটির পরিবার গত ০৫/১১/২০১৭ ইং তারিখে ০৩ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল, কক্সবাজার, নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৪ (২) (খ)/৭/৩০ ও দি পিনাল কোড এর ৪৪৮/৪২৭/ ৩৪ ধারা মোতাবেক একটি শিশু নির্যাতন মামলা রুজু করেন (মামলা নং-২০৯/২০১৮, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল স্মারক নং-২৯৫ (৩)/১, তারিখঃ ১৫/০৩/২০১৮ ইং)। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে।

এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৭ জানতে পারে যে, উক্ত মামলার ০১ নং আসামী কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন মুহুরীপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ০২ এপ্রিল ২০১৮ ইং তারিখ ০১.০০ ঘটিকার সময় র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ০১ নং আসামী আক্তার, পিতা-রশিদ আহম্মদ, সাং-মুহুরীপাড়া, ৬ নং ওয়ার্ড, ইউপি-রাজাপালং, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজারকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

উপ-পরিচালক, কোম্পানী কমান্ডার
সিপিসি-২, র‌্যাব-৭, কক্সবাজার