বাইশ বছর আগে দুটি ব্রোকারেজ এজেন্সির মাধ্যমে শেয়ার কেলেঙ্কারির দুই মামলায় আট জনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।ওই আট আসামির মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) একজন পরিচালক, একজন সাবেক সভাপতি এবং ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতিও রয়েছেন।

তাদের খালাসের রায়ের রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে বিচারপতি মো. রইস উদ্দিনের একক বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়। হাই কোর্টে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিউল বশর ভা-ারী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল স্বপন কুমার দাস ও সৈয়দা সাবিনা আহমদ মলি। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের পক্ষে ছিলেন এ এম মাসুম। শফিউল বশর পরে বলেন, হাই কোর্ট আপিল শুনানির জন্য বিচারিক আদালতের কাছে মামলার নথিপত্রও চেয়েছে।তিনি বলেন, বিএসইসি তাদের আপিলে মামলার রায় বাতিল চেয়ে বলেছে নথি এবং সাক্ষ্য প্রমাণ যথাযথভাবে বিচার-বিশ্লেষণ না করেই ট্রাইব্যুনাল ওই রায় দিয়েছে।

ওই আট আসামিকে আদেশের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। তারা আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে সংশ্লিষ্ট আদালত তা বিবেচনা করতে পারবে।এর মধ্যে এইচএমএমএস ফাইন্যান্সিয়াল কনসালটেন্সি অ্যান্ড সিকিউরিটিজের মামলার আসামিরা হলেন- ডিএসইর পরিচালক শরিফ আতাউর রহমান, ২০০২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ডিএসইর সভাপতির দায়িত্ব পালন করা আহমেদ ইকবাল হাসান, ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক এবং ব্যবসায়ী হেমায়েত উদ্দিন আহমেদ ও সৈয়দ মাহবুব মুর্শেদ।আর সিকিউরিটিজ কনসালটেন্টস লিমিটেডের মামলার আসামিরা হলেন ব্যবসায়ী এম জে আজম চৌধুরী, শহীদুল্লাহ এবং অধ্যাপক মাহবুব আহমেদ।১৯৯৬ সালের কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দাম বাড়িয়ে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ নিয়ে ব্যাপক শোরগোলের পর ১৫টি প্রতিষ্ঠান ও ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে বিএসইসি।এর মধ্যে এ দুটি মামলায় ওই আটজনের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানদুটিকেও আসামি করা হয়। ১৯৯৯ সালে অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়। শেয়ারবাজার-সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর আলী গত ১ ফেব্র“য়ারি এই দুই মামলার আসামিদের খালাসের রায় দেন।ওই রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৫ মার্চ হাই কোর্টে আপিল করে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। মঙ্গলবার আদালত তা শুনানির জন্য গ্রহণ করে।