ঝিনাইদহে চলতি মৌসুমে এবারও ভুট্টার বাম্পার ফলন হতে পারে এমন আশংকা করছে এলাকার কৃষকরা। পোকা,পচন, রোগ বালাই কম থাকার কারনে এবার ভুট্রার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ আবাদ কম খরচে বেশি লাভের কারনে কৃষকরা ভুটা চাষের দিকে ঝুকে পড়েছে। ঝিনাইদহের কোন কোন এলাকায় আগাম ভুট্টা জমি থেকে কাটতে শুরু করেছে। বাজারে ভুট্টার দামও বেশ ভাল পাচ্ছেনা চাষিরা। বর্তমানে ভুট্টা আবাদ কৃষকদের প্রধান অর্থকারি ফসলে রূপ নিয়েছে।এ আবাদ করতে কৃষকদের অধিক পরিশ্রম করতে হয় না। অল্প খরচে অধিক লাভ হয় এ জন্য ভুট্রা চাষের দিকে কৃষকরা ঝুকে পড়ছে। ভুট্টা মুলত মেক্সিকান ফসল। বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালে কম্পোজিট জাতের বীজ দিয়ে আবাদ শুরু হয়। তবে ২০০৩-০৪ সালে ভুট্টা আবাদ কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ করতে থাকে কৃষি কর্মকর্তারা। ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর অফিস জানায়, ঝিনাইদহ জেলার ৬টি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৪’হাজার ৮’শ ৫৯ হেক্টর জমিতে ভুট্টা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। ইতিমধ্যে আবাদ হয়েছে ১৪’হাজার ৯’শ ২৫ হেক্টর। ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ৩’হাজার ৬’শ হেক্টর, কালিগজ্ঞে ৩’শ ৫০, কোটচাঁদপুরে ৩’হাজার ২’শ ৩০, মহেশপুরে ৬’হাজার ৪’শ ৫০, শৈলকুপায় ৪৫ এবং হরিনাকুন্ডু উপজেলায় ১’হাজার ২’শ ৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। এপরিমান আবাদ থেকে ১’লাখ ১৪’হাজার ৭৬৫ টন ভুট্টার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে। কৃষি বিভাগের হিসাব মতে উপজেলার মহেশপুরে সবচেয়ে বেশি এবং শৈলকুপা উপজেলায় ভুট্টার কম আবাদ হয়েছে। ভুট্টা আবাদ সম্পর্কে কথা হয় ঝিনাইদহ গোপালপুরের ভুট্টা চাষি জমির হোসেনের সাথে তিনি বলেন, এবার ৪ বিঘা জমিতে ভুট্টা আবাদ করেছেন। এরই মধ্যে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ১২’হাজার টাকা। আর যে দামে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ভাল লাভই বলে আশা করছেন তিনি। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ড.খান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ভুট্টা আবাদে রোগ বালাই নেই বললেই চলে, খরচের তুলনায় লাভ বেশি, অন্যান্য ফসলের তুলনায় চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। তাই আবাদের দিকে ঝুকে পড়েছে। চলতি মৌসুমে ভুট্টার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক জিএম আব্দুর রউফ জানান, ভুট্টা আবাদ করে চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। তবে সমস্যা হচ্ছে ভুট্টার বীজ শতভাগ হাইব্রিড এবং বিদেশি প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভরশীল হতে হচ্ছে। যদি দেশিয় কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বীজের যোগান দিতে পারত তাহলে ভাল হত। ভুট্রার চাষ প্রতি বছর ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষকরা বলছেন এ আবাদের ফসল বিক্রির সময় নগদ টাকা পাওয়া যায়। চাষ ওবিক্রি করতে কোন ঝামেলা হয় না। ফলে তারা চাষের দিকে ঝুকছে বেশি করে ।