বাঘের সংখ্যা কমছে না বলে জানিয়েছেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মিলনের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, বাঘের সংখ্যা কমছে না। বাঘের প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণে আমরা ইলেকট্রনিক্স পদ্ধতিতে বাঘ গণনা করছি। আগে বাঘের পায়ের ছাপ দেখে সংখ্যা নির্ণয় করা হতো।

তিনি বলেন, বাঘের প্রজনন বৃদ্ধির জন্য সুন্দরবনে তিনটি বাঘের অভয়ারণ্য করা হয়েছে। সেই অভয়ারণ্য শুধু অভয়রণ্যই নয়, সেগুলো প্রকৃত অর্থেই বাঘ প্রজননে কাজ করছে। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবু জাহিরের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ইটিপি ছাড়া কোনো পরিবেশ ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে না। তবে কিছু কিছু শিল্প-কারখানা ছাড়পত্র ছাড়াই গড়ে উঠেছে। এসব শিল্প-কারখানা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

এদিকে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেছেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়ন কাজ শুরু হয়েছে। বিষয়টি এখন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে (জামুকা) প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।তিনি সংসদে সরকারি দলের সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরনের এক তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জামুকা সভায় রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়নের জন্য উপস্থাপিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, স্বনামধন্য পেশাজীবী, প্রথিতযশা সাংবাদিক ও অন্যান্য মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এসব ব্যক্তিবর্গকে শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে সভায় উপস্থিত সদস্যরা অভিমত ব্যক্ত করেন। ফলে জামুকা’য় প্রাপ্ত আবেদনের সাথে মন্ত্রণালয়ে প্রাপ্ত তালিকা একত্র করে শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে তালিকা চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে জামুকার পরবর্তী সভায় উপস্থাপনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।