“দেশ ও জাতিকে হতাশ করতে চাও? যেমন আছো তেমন থাকো। সোনার বাংলা গড়তে চাও? সুশিক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়ো।”

বহিঃশত্রু তাড়িয়ে স্বাধীন যখন করেছি বাংলাদেশকে তখন সোনার বাংলা গড়ার জন্য যা করার তা তো করবোই ইনশাআল্লাহ। আমাদের দেশের সব সমস্যা সনাক্ত করা হয়েছে যেমন দারিদ্র্য, দুর্নীতি, ঘুষ, অন্যায় অবিচার ইত্যাদি।
Problem, Problem, Crisis, etc ,etc. It means if you know the problem then problem is not a problem anymore, question is how to solve the problem and I can only tell you that all problems have solutions. তাই সুশিক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়ার সাথে সাথে আমাদেরকে ভাবতে হবে আর কী পদ্ধতি আছে যা আমরা কাজে লাগাতে পারি দেশকে কলুষিত, ঘুষ, দুর্নীতিমুক্ত করতে?

ডিজটালের যুগে ICT-কে কাজে লাগাতে হবে নতুন পদ্ধতিতে। পৃথিবীর প্রথম দেশ হতে পারে কি বাংলাদেশ, সুইডেনের আগে? তা হলে হবে “কাগজের টাকামুক্ত বাংলাদেশ”। সুইডেন প্রথম দেশ অর্থ ট্রাঞ্জেকশনকে পুরো ডিজিটালাইজ করতে চিন্তা করছে এবং এটা করা খুবই সম্ভব। আমারই দৈনন্দিন জীবনে আমি ৯৯% সময় ভিসা কার্ড, টেলিফোন বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সব কেনাবেচা করি। অতএব এটা খুবই সম্ভব বাংলাদেশেও। এটা পরিচালনা করার সাথে সাথে বন্ধ হবে ঘুষ দেওয়া-নেওয়া, দুর্নীতি করা, ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া। কারণ সবকিছু এখানে মনিটরিং হবে ডিজিটালের মাধ্যমে। কার কী পরিমাণ অর্থ আছে, কোত্থেকে কী আয়, ব্যয়, সব ধরনের ট্রাঞ্জেকশন ডকুমেন্টেড ওয়েতে আরকিভ থাকবে। ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করার সাথে সাথে সমস্ত কালো টাকা বা লিগ্যাল টাকা যার যা আছে তা বাধ্য হতে হবে তখন একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দিতে। তারপর সব হিসাব নিকাশ চলবে ICT-র মাধ্যমে। সারাদেশে কাগজের টাকা বলে কোনো মাধ্যম থাকবে না। কিছু কাজ করতে হবে তা হোল ফিংগার প্রিন্ট, আইডি যা এখন দেশের সবারই আছে। প্রতিটি শিশু জন্মগ্রহণ করার সাথে সাথে তার জন্মতারিখসহ সব কিছু ডিজিটাল ওয়েতে ডকুমেন্ট করতে হবে এবং কিছু অ্যাপস ইনস্টলেশন করতে হবে। বলতে হয় যা দরকার সব ব্যবস্থা করা যাবে, এ ক্ষেত্রে আমরা সুইডেনের সাহায্য নিতে পারবো। সুশিক্ষা যদি আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে আমাদের মনুষ্যত্বের পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হয় তখন এটা চালু করতে হবে। সোজা আংগুলে ঘি যখন উঠে না তখন তাকে বাঁকা করতে হয় তা আমরা জানি। দেশকে সোনার বাংলা করতে ব্যবহার করতে হবে এই মডার্ন টেকনোলোজি। মিশন যদি সত্যি হয়ে থাকে “ডিজিটল বাংলাদেশ করার” তখন তার মানে শুধু এই নয় যে সবাই টেলিফোন ব্যবহার করতে শিখেছে, এখন থেকে সবাইকে আরো কিছু বেসিক শিক্ষা দিতে হবে যাতে করে পুরো দেশকে ডিজিটল করা সম্ভব। আমি জানি অনেকেই হাজারো অজুহাত বের করবে এটা না করার জন্য কারণ তারা জানে এর জন্য তারা যেমন আছে তেমন থাকতে পারবে না, আমিও তাদের হাজারো অজুহাতের উত্তর সাথে কিছু অতিরিক্ত তথ্য দিবো যা তারা নিজেরাও জানে না বা শুনেনি এর আগে কখনো। শুনেছি ভিখারিও নাকি টেলিফোন ব্যবহার করে ভিক্ষার কাজে, তাদের আর ভিক্ষা করা লাগবে না কারণ দেশের সবাই টাক্স পে করবে এবং We will feel proud to be a citizen of Bangladesh. সুশিক্ষা দিতে হবে সবাইকে, কিভাবে টেলিফোনের মাধ্যমে কেনাবেচা বা কাজের বিনিময়ে অর্থ কামাই করা যায়। এ কাজ করতে সাহায্য করবো আনন্দের সাথে। ১৯৮৫ সালে প্রায় বছর খানেক মতো শুরু করেছিলাম লেখাপড়া সুইডেনের বিশ্ববিদ্যালয়ে (Linköping, প্রথম কম্পিউটার চালু হয় ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে) কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনোলজির ওপর, এতদিন পরে মনে হচ্ছে সে সময়টুকু বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। দেশের স্বার্থে সে শিক্ষাকেও কাজে লাগাতে কোনোরকম কৃপণতা করবো না। শুনতেই গা শিউরে উঠছে আনন্দে ডিজিটাল সোনার বাংলায় ক্যাশ টাকা ছাড়া কেনাবেচা। বাহ! Today’s dream tomorrow’s reality.

– রহমান মৃধা, পরিচালক ও পরামর্শকারী, গ্লোবাল ফার্মাসিউটিক্যালস, সুইডেন।