নাসির হোসেনের ডান হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে। তাই অস্ত্রোপচারের বিকল্প নেই। অনতিবিলম্বেই তাকে ছুরি-কাঁচির নিচে যেতে হচ্ছে।মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) এ তথ্য দিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। এমআরআই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর নাসিরে চোটের অবস্থা জানালেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেন,চোটের ধরন দেখে যে শঙ্কা করা হচ্ছিল, সেটিই সত্যি হলো এমআরআই রিপোর্টে। নাসির হোসেনের ডান হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে পুরোপুরি। দু-একদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, কোথায় করানো হবে এই অলরাউন্ডারের অস্ত্রোপচার। অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে পুনর্বাসন শেষে আবার ক্রিকেটে ফিরতে তার সময় লাগবে অন্তত ছয় মাস।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শেষে ক্রিকেটাররা ছিলেন ছুটিতে। এর মধ্যেই সোমবার নাসিরকে দেখা যায় ক্রাচে ভর দিয়ে এসেছেন বিসিবির চিকিৎসের কাছে। জানা যায়, গুরুতর চোট পেয়েছেন হাঁটুতে। লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার শঙ্কা তখনই ছিল, অপেক্ষা ছিল এমআরই-এর ফল জানারনাসিরের ডান হাঁটুর লিগামেন্ট ইনজুরির আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এমআরআই করার পর আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি। ওর অ্যান্টেরিওর ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট বা এসিএল পুরোটাই ছিঁড়ে গেছে। যেহেতু পুরোটাই ছিঁড়ে গেছে লিগামেন্ট, এজন্য অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে আমাদের।আমরা চেষ্টা করছি, বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করছি, কোথায় অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করা যায়। অস্ত্রোপচার করানোর পর খেলায় ফিরতে ওর মাস ছয়েকের মত সময় লাগবে। দেবাশীষ চৌধুরী জানালেন, দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, কোথায় করানো হবে নাসিরের অস্ত্রোপচার।আমরা দু-তিন জায়গায় অ্যাপয়েনমেন্ট নিয়ে রাখছি। আমাদের সিইও দেশের বাইরে আছেন। উনি ফিরলে সিদ্ধান্ত হবে। আমাদের দেশেই এখন এসিএল রিকনস্ট্রাকশনের খুব ভালো অপারেশন হচ্ছে। তবে আমরা সাধারণত অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, এসব জায়গায় করানোর পরামর্শ দেই। সিদ্ধান্ত দু-একদিনের মধ্যেই হবে। নাসিরেরর বিষয়ে বিষদ জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘স্ক্যান রিপোর্টে দেখা গেছে ওর লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে। অপারেশন করতে হবে। তবে দেশে না বিদেশে হবে সেটা এখনও ঠিক হয়নি। ৫ এপ্রিল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শেষে ছুটিতে থাকা নাসির নিমন্ত্রণে গিয়েছিলেন সিরাজগঞ্জে। সেখানে ফুটবল খেলার সময় হাঁটুতে চোট পান বাংলাদেশ ক্রিকেটে নিয়মিত হতে চাওয়া এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সেখান থেকে ঢাকা ফিরলে হাঁটুতে এমআরআই করাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তাকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে পাঠায়। এমআরআই প্রতিবেদনে দেখা যায়, তার লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে এবং হাঁটুতে অস্ত্রোপচার অবশ্যকরণীয়।