পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সদরুল আলম পিন্টু হত্যা মামালার এজাহার ভুক্ত দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডের ৮ দিন পর পৃথক অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামী হলো- পাকশী এলাকার গণি মাস্টারের ছেলে ইমন হোসেন (২২) ও কাজী সাইফুল ইসলামের ছেলে তৌফিক হাসান বিত্ত (২০)। গ্রেপ্তারকৃত দু‘জনই একই দলের কর্মি বলে জানা গেছে।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিম উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেলে পাকশী এলাকা থেকে প্রথমে ইমনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে হত্যাকান্ডের সাথে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া একই দিন সন্ধ্যায় আলাদা অভিযান চালিয়ে তৌফিক হাসান বিত্তকে গ্রেফতার করা হয়। পিন্টু হত্যাকান্ডের বিষয়ে গ্রেফতারকৃতরা চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করেছে বলে দাবি করে ওসি আজিম উদ্দিন আরো জানান, অন্যান্য আসামী গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল পাকশী রূপপুর পাকার মোড় এলাকায় দলের অভ্যন্তীরন কন্দোলের জের ধরে একই দলের ১০ থেকে ১৫ জনের একদল সন্ত্রাসী পিন্টুকে গুলি করে এবং ধারলো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। তাকে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ এপ্রিল সোমবার ভোরে পিন্টুর মৃত্যু হয়।এ ঘটনায় নিহত পিন্টুর বাবা আজাদ আলী বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।