ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) উদ্যোগে ‘পরিচ্ছন্ন ঢাকা’ কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বরেকর্ড গড়ল ঢাকাবাসী। শুক্রবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পূর্বের তুলনায় তিন গুণ বেশি নাগরিক নিয়ে এ নতুন রেকর্ড গড়ে। এ রেকর্ড জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি উৎসর্গ করেছেন দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। শুক্রবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে ১৫ হাজার ৩১৩ নগরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে প্রতীকী পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।

পরিচ্ছন্নতায় বিশ্বরেকর্ড গড়তে চৈত্রসংক্রান্তির দিনে বিশেষ এ উদ্যোগ নেয় ডিএসসিসি। ডেটলের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘ডেটল পরিচ্ছন্ন ঢাকা, সাপোর্টেড বাই ডিএমপি অ্যান্ড পাওয়ার্ড বাই জিটিভি’ শীর্ষক এই প্রতীকী পরিচ্ছন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

‘মন সুন্দর যার, সে রাখে দেশ পরিষ্কার’- স্লোগানে গিনেস বুকে নতুন রেকর্ডের লক্ষ্যে রাজধানীর গুলিস্তানের গোলাপশাহ মাজার থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত এ পরিচ্ছন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।

ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্বচ্ছ ঢাকা গড়তে নগরবাসীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রতীকী এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এর মাধ্যমে পুরো নগরী পরিচ্ছন্ন না হলেও জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি এই শহরের নাম গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে লেখা থাকবে।

কর্মসূচিতে জাতীয় স্কাউট, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), ফায়ার সার্ভিস, নৃত্যশিল্পী, চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে লোকজন অংশ নেন।

এ ছাড়া সংসদ সদস্য গাজী গোলাম দস্তগীর, সানজিদা খানম, প্রধান নির্বাচন কমিশন কেএম নুরুল হুদা, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, চিত্রনায়ক রিয়াজ, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বেলাল, ডিএনসিসির প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের ছেলে নাভিদুল হক বিশ্বরেকর্ডের এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

জীবনব্যবস্থায় পরিচ্ছন্নতা স্থাপন করায় নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, এ রেকর্ডের মধ্য দিয়ে বিশ্বের কাছে প্রমাণ করেছি ঢাকাবাসী পরিষ্কার নাগরিক। এর আগে ভারতের গুজরাটে ২০১৭ সালের ২৮ মে বদোধারা শহরের মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে পাঁচ হাজার ৫৮ কর্মী নিয়ে এক কিলোমিটার রাস্তা পরিষ্কার করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে নাম লেখায়।

এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতে সর্বাধিক মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে বাংলাদেশ স্থান করে নেবে বলে আশাবাদী ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।