ভারতের সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় টেস্ট ও ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ এ অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, রাজনীতিতে আসা নিয়ে তিনি এখনো কিছু ভাবেননি। ক্রিকেট নিয়েই পড়ে থাকতে চান এবং মনোযোগটা খেলাতেই থাকবে। তবে সাকিব এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ভবিষ্যৎ নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না। তাই কোনো কিছুই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

নিদাহাস ট্রফির আগে সপরিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছিলেন সাকিব আল হাসান। ত্রিদেশীয় এই টুর্নামেন্ট শেষে দাওয়াত পেয়েছিলেন রাষ্ট্রপতির। সপরিবার বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির দাওয়াত রক্ষা করেছিলেন সাকিব। তখন থেকেই অনেকের প্রশ্ন, ক্রিকেট ছাড়ার পর সাকিব কি রাজনীতিতে আসতে পারেন?জবাবটা দিয়েছেন সাকিব নিজেই। ভারতের সংবাদসংস্থা পিটিআই -এর সঙ্গে আলাপচারিতায় টেস্ট ও ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ এ অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, রাজনীতিতে আসা নিয়ে তিনি এখনো কিছু ভাবেননি। ক্রিকেট নিয়েই পড়ে থাকতে চান এবং মনোযোগটা খেলাতেই থাকবে। তবে সাকিব এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ভবিষ্যৎ নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না। তাই কোনো কিছুই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

৩১ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডারকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, অবসর নেওয়ার পর রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ভাবনা আছে কি না? সাকিবের জবাব, ভবিষ্যৎ নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না। আমি বর্তমান নিয়েই থাকতে চাই। কিন্তু কোনো কিছুই উড়িয়ে দিচ্ছি না। এ ব্যাপারে (রাজনীতি) এখনো ভাবিনি, তাই এটা নিয়ে এখন কথা বলাও কঠিন। ক্রিকেট আমার জীবন এবং মনোযোগটা শুধু এখানেই (ক্রিকেট) থাকবে।প্রধানমন্ত্রীর অফিশিয়াল বাসভবন গণভবনে সপরিবার যাওয়া প্রসঙ্গে সাকিবের ব্যাখ্যা, এটা ছিল সৌজন্যসাক্ষাৎ। তিনি ক্রিকেট খুব পছন্দ করেন এবং খেলোয়াড়দের সব সময় উৎসাহ দেন।

আইপিএল খেলতে সাকিব এখন ভারতে অবস্থান করছেন।সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে দুই ম্যাচে বেশ ভালোই করেছেন তিনি। রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ২ উইকেট নেওয়ার পর মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষেও ১ উইকেট নেন সাকিব। এ দুটি ম্যাচেই জয় তুলে নেয় তাঁর দল। আইপিএলে এবার কবজির স্পিনারদের প্রশংসাও করেছেন বাংলাদেশের এ অধিনায়ক।তাঁর মতে, কবজির মোচড়ে বল ঘোরানো স্পিনাররা সংক্ষিপ্ত সংস্করণে অধিনায়কদের জন্য সেরা অস্ত্র হয়ে উঠছেন। বল ঘোরাতে তাঁদের উইকেটের কন্ডিশনের ওপর নির্ভর করতে হয় না। এবার আইপিএলে যেমন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে ‘রিস্ট’ স্পিনার মৈনাক মারাকান্দে ২ ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন। ভালো করছেন সাকিবের সানরাইজার্স সতীর্থ রশিদ খানও।কবজির মোচড়ে বল ঘোরানো স্পিনারদের নিয়ে সাকিবের মন্তব্য, ‘কবজির স্পিনারদের সবাই খেলতে অভ্যস্ত নয়, তাই ব্যাটসম্যানদের জন্য এটা সামলানো কঠিন। তারা (লেগ স্পিনার) যেকোনো উইকেটে বল ঘোরাতে পারে, এটা একটা সুবিধা। কিন্তু তাদের যত বেশি খেলবেন ততই অভ্যস্ত হয়ে ওঠা যায়।’ সানরাইজার্সে আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খানের সঙ্গে বোলিংয়ে জুটি বাঁধা প্রসঙ্গেও কথা বলেন সাকিব, বেশ ভালো একটা সমন্বয় হয়েছে। সে অনেক দিন ধরেই দলের জন্য ভালো পারফর্ম করছে। রশিদের মতো বোলারকে দলে পাওয়া সত্যিই বড় ধরনের সুবিধা।