মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত। এ কথাটি সবাই জানলেও মানে কয়জন। প্রতিটি মা ১০ মাস ১০দিন সন্তানকে গর্ভে ধারণ করে কতই কষ্ট করেন। জন্মের পর নিজে না খেয়ে সন্তানকে খাওয়ান, শীতের রাতে সন্তানের প্রসাবের জায়গায় নিজে শুয়ে বুকের ধনকে রাখেন শুকনো জায়গায়। জ্বর বা অসুখ হলে রাত জেগে থেকে সেবা দিয়ে সুস্থ করেন। নিজের জীবনের বিনিময় হলে সকল আপদবিপদ থেকে সন্তানকে রক্ষা করেন। খেতে একটু দেড়ি হলে বলে, বাবা সোনা আয় আয় একটু খেয়ে যা-আ। না খেলে যে তোর শরীর খারাপ করবে। বড় হয়ে তোকে যে মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। তুই যে আমার বুকের সেরা ধন।

মায়ের কাছে সন্তানকে কোনদিনই বোঝা মনে হয় না, হোক না সে নেঙরা-খোরা আর বোবা-পাগলা। আর সেই বৃদ্ধা মাকেই এক অজানা স্থানে রেখে পালিয়ে গেছেন এক লম্পট, নিষ্ঠু ও কাপুরুষ ছেলে। তার কাছে যেন সেই মা হয়েছিলেন হাজার মনের বোঝা। আর নিষ্ঠুর ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (১৪ এপ্রিল) রাত ১টায় লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার রেলস্টেশনে।

জানা গেছে, শনিবার রাত রাত ১ টার দিকে তুষভান্ডার রেলষ্টেশনে এক ছেলে তার বৃদ্ধা মাকে ফেলে পালিয়ে যায়। বয়স আর দুঃখকষ্টের ভারে বৃদ্ধা মহিলাটি নিজের, স্বামীর ও দুই ছেলের নাম ছাড়া কিছুই বলতে পারেন না। বৃদ্ধা মাকে জিজ্ঞাসা করলে ভাঙ্গাভাঙ্গা গলায় জানান, তার নাম মোছাঃ হাজেরা খাতুন, স্বামী মাওলানাঃ আব্বাস আলী মীর, ছেলের নাম হাফিজুল, আলম ও হারুন। তার ছেলে রেলস্টেশনে তাকে এখনি আসতেছি বলে রেখে গেছে! তার নাতনী পিস স্কুলে পড়েন। ঐ বৃদ্ধা মাটি বর্তমানে কালীগঞ্জের সাংবাদিক “সাব্বির আহমেদ লাভলু” এর বাড়িতে আছে। তার মোবাইল নং- 01751328341।