মস্তিষ্কের আঘাতের কারণেই দুই বাসের চাপায় হাত হারানো রাজিব হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে রাজধানীতে রাজিব হোসেন মারা যান। গত ৩ এপ্রিল দুপুরে বিআরটিসির একটি দোতলা বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন। বাসটি হোটেল সোনারগাঁওয়ের বিপরীতে পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে পৌঁছলে হঠাৎ পেছন থেকে স্বজন পরিবহনের একটি বাস বিআরটিসি বাসটির গা ঘেঁষে অতিক্রম করে। দুই বাসের প্রবল চাপে গাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা রাজীবের হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।রাজীবের বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড় ছিলেন। পড়ালেখার পাশাপাশি একটি প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার টাইপ করে তিনি নিজের এবং ছোট দুই ভাইয়ের খরচ চালাতেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজীবের মৃত্যুর খবর তার স্বজনদের জানান। খবর পেয়ে রাতেই নিহতের মামা ও চাচা হাসপাতালে উপস্থিত হন। রাজীবের লাশ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার ময়না তদন্তের পর সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে পটুয়াখালীর বাউফলে নিজ গ্রামে রাজীবের দাফন সম্পন্ন হবে বলে জানান তার স্বজনরা। গত ৩ এপ্রিল কারওয়ানবাজারে সার্ক ফোয়ার সামনে দুই বাসের চাপায় ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে তাকে রাজধানীর শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার পর ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এর কয়েকদিন পর থেকে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। অবস্থার আরও অবনতি হলে ৯ এপ্রিল থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলো রাজীব। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় মা ও অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবাকে হারান। পরে তিনি খালার বাসায় থেকে পড়ালেখা করতেন।