নড়াইলের নড়াগাতিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে গোপন বৈঠক করার সময় দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিতসহ ৫৯ নেতাকর্মীকে আটক করেছে নড়াইল জেলা পুলিশের একটি দল।আটককৃত নেতাদের মধ্যে রয়েছেন-বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবির মুরাদ, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি নেতা মাজেদুর রহমান, কালিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান মিলুসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে নেতাকর্মী।তবে এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।শুক্রবার বিকালে নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের গ্রামের বাড়ি কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার খাশিয়াল গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।

অভিযানে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়া বিএনপির নেতাকর্মীদের আটক করতে এলাকাজুড়ে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।পুলিশ জানায়, ওই দিন সকাল থেকেই নড়াইল, যশোর, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা ও মাগুরা থেকে বিএনপির জেলা ও উপজেলাগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপজেলার নড়াগাতি থানা ও বড়দিয়া পুলিশ ফাঁড়ির মধ্যবর্তী গ্রাম খাশিয়াল গ্রামে জাহাঙ্গীর বিম্বাসের বাড়িতে জড়ো হতে থাকে।মাগুরা জেলা বিএনপির সভাপতি করিব মুরাদ, যশোর জেলা বিএনপির নেতা মাজেদুর রহমানসহ প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী ওই বাড়িতে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়।ঘটনাটি জানতে পেরে নড়াইলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে নড়াইল জেলা পুলিশের একটি দল ওই দিন বিকাল ৩টার দিকে অভিযান চালালে অনিন্দ ইসলাম অমিত, কবির মুরাদ, মাজেদুর রহমান ও ওয়াহিদুজ্জামানসহ ৫৯ জনকে আটক করতে সক্ষম হন। বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম ও মনিরুল ইসলামসহ অনেকেই পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।নড়াগাতি থানার ওসি মো. বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি বিপদে আছি। খাশিয়ালের জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের বাড়ি থেকে অনেক বিএনপি নেতাকর্মী আটক হয়েছে। সে কাজে ব্যস্ত আছি।নড়াইলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মেহেদী হাসান বলেন, গোপন বৈঠক চলাকালে ওই বাড়ি থেকে কেন্দ্রীয় নেতা অমিতসহ বিএনপি নেতাদের আটক করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া নেতাদের আটকে পুলিশি অভিযান চলছে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে গোপন বৈঠকের উদ্দেশ্য জানা যাবে।