প্রথম বছরে ইসির গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল একাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সাতটি কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ। এগুলো হচ্ছে আইনি কাঠামো পর্যালোচনা ও সংস্কার, নির্বাচন-প্রক্রিয়া সহজ ও যুগোপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ গ্রহণ, সংসদীয় এলাকার সীমানা নির্ধারণ, নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সরবরাহ, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ও নিবন্ধিত দলের নিরীক্ষা এবং নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট সবার সক্ষমতা বাড়ানো।২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সীমানা পুনর্নির্ধারণ চূড়ান্ত করার কথা থাকলেও ইসি এর খসড়াই প্রকাশ করতে পারেনি। এখন আগের আইনে সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ হচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিপক্ষে।

দুটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন ভালো হলেও এখনো সবার পুরোপুরি আস্থা অর্জন করতে পারেনি নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বর্তমানে গাজীপুর ও খুলনার তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে । এই নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যে বড় দুই দলের নেতারা মাঠে নেমে গেছেন । কেউ কেউ এই দুই সিটির নিবার্চনকে চ্যালেঞ্জ ইসির বড় কঠিন পরীক্ষা হিবেসে দেখছেন। হিসেবে কুমিল্লা ও রংপুরে ভালো করার পর ঢাকায় এসে নির্বাচন নিয়ে ইসির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ধীরগতিও সংশয় তৈরি করছে।একটি সংকটপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচন করতে হবে। এর আগে ছয় সিটি করপোরেশন নির্বাচন করতে হবে। মূলত এই বছরটাই হবে ইসির চূড়ান্ত পরীক্ষার বছর।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইসির ভূমিকায় সন্তুষ্ট। তবে বিএনপি এখনো পূর্ণ আস্থা রাখতে পারছে না। এই অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার নিজেদের শপথ নেওয়ার এক বছর পূরণ করতে যাচ্ছে কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।এই কমিশনের পূর্বসূরি কাজী রকিবউদ্দীন কমিশন ছিল বিতর্কিত। ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন এবং পরবর্তীকালে বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জবরদখলের ঘটনায় ইসি ও নির্বাচনব্যবস্থার ওপর আস্থা শূন্যের কোঠায় চলে গিয়েছিল। এই অবস্থায় নতুন কমিশনের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অংশীজনদের আস্থা অর্জন।প্রথম বছরে কমিশন কতটুকু আস্থা অর্জন করতে পেরেছে? সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার মনে করেন, সার্বিকভাবে ইসি পুরোপুরি আস্থা অর্জন করতে পারেনি। তাদের আস্থা এখনো প্রশ্নবিদ্ধ। ইসি একটি স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। শুধু নির্বাচন করা নয়, তাদের দায়িত্ব একটি সুষ্ঠু অবাধ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা। কিন্তু তাদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এই বিষয়ে চরমভাবে শঙ্কিত হওয়ার কারণ আছে।

কে এম নুরুল হুদার কমিশনের জন্য বড় পরীক্ষা ছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে উপনির্বাচন। নির্বাচন ঘিরে বেশ কিছু আইনি জটিলতাও ছিল। কিন্তু জটিলতা নিরসন না করেই তারা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। পরবর্তী সময়ে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজধানীতে এই নির্বাচন নিয়ে অনাগ্রহ ছিল সরকারেরও।জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাঁরা সংবিধান অনুযায়ী অর্পিত দায়িত্ব নিরপেক্ষ ও যথাযথভাবে পালন করে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতেও তাঁরা তা করবেন।

এই কমিশনের সময়ে কুমিল্লা ও রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন ছিল প্রশংসিত। তবে গত ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা পর্যায়ে ১২৬টি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় জাল ভোট, ব্যালটে প্রকাশ্যে সিল মারা, নৌকা প্রতীকে সিল মারা ব্যালট পেপার ভোটারদের দেওয়া, ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এখনো ইসি বড় পরীক্ষার মুখে পড়েনি। ঢাকায় নির্বাচন হলে একটি বড় পরীক্ষা হতো। এখন পর্যন্ত বড় ধরনের অনাস্থা তৈরি হয়নি। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে সিইসির সাম্প্রতিক বক্তব্য ইতিবাচক। এটা নিশ্চয় বিএনপিকে আশ্বস্ত করেছে। তবে তিনি মনে করেন, জাতীয় নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, ইসির ওপর আস্থা-অনাস্থার জায়গাটা প্রকট হবে। কারণ, এখন থেকেই সরকারি সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে মন্ত্রীরা নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, গত এক বছরে ইসি এমন কোনো দৃশ্যমান ভূমিকা নেয়নি বা নিতে পারেনি, যাতে তাদের ওপর আস্থা তৈরি হতে পারে। এমনকি স্থানীয় সরকার নির্বাচনও তারা নিজেদের কর্তৃত্বে করতে পারেনি।তবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ফারুক খান বলেন, গত এক বছরে ইসি তাদের ওপর অর্পিত সাংবিধানিক দায়িত্ব সুষ্ঠু ও যথাযথভাবে পালন করেছে। ভবিষ্যতে ইসি আরও সুন্দরভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবে এবং সব দল ইসিকে সহায়তা করবে বলে তিনি আশা করেন।ডিসেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় আইনের খসড়া তৈরি করে ফেব্র“য়ারির মধ্যে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বললেও তা করতে পারেনি ইসি।আবার পরামর্শ নেওয়ার জন্য নির্ধারিত সময়ে সংলাপ করতে পারলেও সুপারিশ চূড়ান্ত করে তা প্রকাশ করতে পারেনি ইসি।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে প্রাধান্য পেয়েছিল সেনা মোতায়েন। বিএনপিসহ ১১টি দল জাতীয় নির্বাচনে বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব দেয়। অন্য দিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ কয়েকটি দল এর বিরোধিতা করে। ইসি সূত্র জানায়, ইসি বিএনপির সেনা মোতায়েন প্রস্তাব আমলে নিচ্ছে না। রোডম্যাপ বাস্তবায়নের প্রতিটি ক্ষেত্রেই পিছিয়ে রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতিহীন রোডম্যাপে গতি ফেরাতে কমিশন মাঝে কিছুটা তৎপরতা দেখালেও তা হালে পানি পায়নি। ফলে রোডম্যাপের প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কমিশন বলছে, রোডম্যাপে ছন্দপতন হলেও জাতীয় নির্বাচনে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে এগিয়ে চলছে বলে ইসি দাবি করেছে।নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত রোডম্যাপ কার্যক্রমের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া পর্যালোচনা ও ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন গত বছরের ১৬ জুলাই নির্বাচনি কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) ঘোষণা করে। দেড় বছর মেয়াদি এই রোডম্যাপে কমিশন সাতটি সুনির্দিষ্ট করণীয় নির্ধারণ করে। এগুলো হলো- আইনি কাঠামো পর্যালোচনা ও সংস্কার; নির্বাচন প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবার পরামর্শ গ্রহণ; সংসদীয় এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ; নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং সরবরাহ; বিধি-বিধান অনুসরণপূর্বক ভোটকেন্দ্র স্থাপন; নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিরীক্ষা এবং সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সবার সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ। রোডম্যাপের করণীয়গুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সংলাপ ও ভোটার তালিকা হালনাগাদ ছাড়া কোনও কাজই সময়মতো শেষ হয়নি। এরমধ্যে ভোটার তালিকার বিষয়টি রোডম্যাপে অন্তর্ভুক্ত হলেও এটি আইনি কারণেই নির্ধারিত সময়ে (প্রতিবছর ৩১ জানুয়ারি) শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এদিকে সংলাপ প্রতিশ্র“ত সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারলেও সময়মতো তার সুপারিশ চূড়ান্ত করতে পারেনি ইসি। গত ডিসেম্বরের মধ্যে সংলাপের সুপারিশ চূড়ান্ত করে সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানোর কথা থাকলেও তা শেষ করতে এপ্রিলে এসে ঠেকেছে। রোডম্যাপ বাস্তবায়ন সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে আইন ও বিধি সংস্কারের দিক থেকে। গত ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাঁচটি আইন ও নয়টি বিধিমালার সংস্কার চূড়ান্ত করার কথা থাকলেও এগুলোর কোনোটিই এখনও সম্পন্ন করতে পারেনি কমিশন। আইন সংস্কার কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়ায় রোডম্যাপে গতি আনতে কমিশন ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে কিছুটা সক্রিয় হয়। দ্য রিপ্রেজেনটেশন অব দ্য পিপল অর্ডিন্যান্স, ১৯৭২ (গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ-আরপিও) ও সীমানার নির্ধারণ আইনটি নিয়ে ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়। পর পর কয়েকটি বৈঠক করে আইন দুটির খসড়া চূড়ান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। শেষ সময়ে তা না পেরে আবারও এটিকে পর্যালোচনার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে আইন সংস্কার নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।অবশ্য কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, আইন সংশোধন না হলেও কিছু ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতায় আরপিও বা গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ সংশোধন করতেই হবে। ফলে জুনের বাজেট অধিবেশনে আরপিও’র সংশোধনী পাস করানোর চেষ্টা করছে তারা। সেটা না হলে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে এটা করা হতে পারে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এদিকে সীমানা পুনর্বিন্যাস আইনটি সংশোধনের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলে মনে করছেন ইসির কর্মকর্তারা। তাদের মতে, বিদ্যমান আইনেই সীমানা পুনর্বিন্যাসের কার্যক্রম প্রায় এগিয়ে এনেছে কমিশন। এ কারণে নির্বাচনের আগে আইনটি নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে না।একাদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুযায়ী গত বছর অক্টোবরে ৩০০ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে দাবি-আপত্তি-সুপারিশ নিষ্পত্তি করে ডিসেম্বরে সীমানা চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু এখানেও নির্বাচন কমিশন চার মাস পিছিয়ে গেছে। গত ১৪ মার্চ কমিশন সীমানার খসড়া প্রকাশ করে দাবি-আপত্তির সময় দিয়েছে। শনিবার থেকে (২১ এপ্রিল) এই খসড়ার ওপর শুনানি শুরু হবে। কমিশন বলেছে, আগামী ৩০ এপ্রিল তারা সংসদীয় সীমানা পুনর্বিন্যাস চূড়ান্ত করবে।রোডম্যাপে কমিশন বিদম্যান দলগুলোর নিবন্ধনের শর্ত প্রতিপালন সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করে জানুয়ারির মধ্যে তাদের নিবন্ধন বহাল রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল। একইসঙ্গে আগ্রহী দলগুলোর কাছ থেকে আবেদন সংগ্রহ করে ফেব্রুয়ারি মাসে এসব আবেদন যাচাই-বাছাই করে নিবন্ধন দেওয়ার কথা ছিল। পরে মার্চ মাসে নতুন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। বেঁধে দেওয়া সময় অতিক্রম করলেও কাজ দুটি এখনও শেষ হয়নি। বর্তমানে দুটি কাজ চলমান রয়েছে। আগামী মে মাসে এটা চূড়ান্ত হতে পারে বলে কমিশনের কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছেন।

এদিকে নতুন এই সীমানার ওপর ভিত্তি করে আগামী জুন থেকে সব নির্বাচনি এলাকার জন্য ছবিসহ ভোটার তালিকা মুদ্রণ ও ভোটার তালিকার সিডি প্রণয়ন ও বিতরণ করার কথা রয়েছে। জুলাই থেকে নির্বাচনি এলাকাভিত্তিক ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ ও রাজনৈতিক দলের স্থানীয় দফতরে পাঠাবে ইসি। নির্বাচন কমিশনের নিয়মতান্ত্রিক এই কাজগুলো শেষ করতে খুব একটা বেগ পেতে হবে না বলে জানিয়েছেন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, রোডম্যাপের শিডিউল অনুসারে শেষ না হলেও এতে আগামী নির্বাচনে প্রভাব পড়বে না।’ তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আমাদের যে করণীয় কাজ তা করা হচ্ছে এবং যেটা বাকি রয়েছে সেটা সময়মতো করা হবে এবং এই সময় কমিশনের হাতে রয়েছেও।এ বিষয়ে ইসির সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, যেকোনও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের সময় একটু এদিক-সেদিক হতেই পারে। কমিশন রোডম্যাপ অনুযায়ী কার্যক্রম চলছে না মানে এই নয় যে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি থেকে পিছিয়ে রয়েছে। আমাদের নির্বাচনি প্রস্তুতি সঠিকভাবেই চলছে । রোডম্যাপের বিচ্যুতিতে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতিতে কোনও ধরনের প্রভাব পড়বে না বলেও দাবি করেন তিনি।