বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিষয়ে আশাবাদী আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল- আইএমএফ।বেসরকারি খাতে ভোগ ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে হওয়া অসাধারণ প্রবৃদ্ধির প্রভাবে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হার সাড়ে সাত শতাংশ হওয়ার বিষয়ে আমরা আশাবাদী জানিয়েছেন আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সহকারী পরিচালক কেন ক্যাঙ।শুক্রবার ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বসন্তকালীন বার্ষিক সম্মেলনের এক ফাঁকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চলতি হিসেবের ঘাটতির হার ২ শতাংশ ও মুদ্রাস্ফীতির হার ৬ শতাংশের কাছাকাছি হতে পারে।তার মতে, ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা দূর করা, সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ আদায়ের ব্যবস্থা করা ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মুনাফা অর্জনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার মতো কাঠামোগত সংস্কারের ওপরে এখন গুরুত্ব দিতে হবে।ক্যাঙ বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অবকাঠামোগত খাতের বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থানে কর খাতের সার্বিক সংস্কার প্রয়োজন।এ সপ্তাহের শুরুতে বিশ্ব ব্যাংক জানিয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলিত হার ২০১৮ সালের জন্য ৬.৫ শতাংশ, ২০১৯ সালের জন্য ৬.৭ শতাংশ ও ২০১২ সালের জন্য ৭ শতাংশ।সংস্থাটি জানায়, বিনিয়োগ, বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় এবং শিল্পখাতে ক্রমবর্ধমান উৎপাদনশীলতার কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে। প্রবৃদ্ধির হার ২০১৭ সালের ৭.৩ শতাংশ থেকে পরিবর্তিত হয়ে ২০১৮ সালে ৬.৫ শতাংশ হতে পারে।সংস্থাটি তাদের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিল, মুদ্রাস্ফীতি ও বাজেটের বরাদ্দের কারণে বেশি চাপ রয়েছে এবং একই সঙ্গে বেড়েছে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ। প্রতি মাসে ১ লাখ ৭০ হাজার নতুন মুখ শ্রম বাজারে ঢুকছে। এরকম পরিস্থিতিতে বেকারত্বের হার নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশকে প্রতি বছরে অন্তত ১১ লাখ নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।