ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ১২ বছরের কম বয়সের শিশু ধর্ষণে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের প্রস্তাব ভারতের মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেয়েছে।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন ইউনিয়ন কেবিনেটে শনিবার ওই অর্ডিন্যান্স পাশ হয় বলে জানায় এনডিটিভি।

গত জানুয়ারিতে জম্মু ও কাশ্মিরের কাঠুয়ায় যাযাবর সম্প্রদায়ের আট বছরের এক শিশুকে অপহরণ করে মন্দিরে আটকে রেখে সাত দিন ধরে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়।এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই মন্দিরের পরিচালক এবং চার পুলিশ সদস্যসহ মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।এ মাসের শুরুর দিকে অভিযুক্তদের মুক্তির দাবিতে জম্মুর হিন্দু অধিকার রক্ষাকারী কয়েকটি সংগঠন বিক্ষোভ আরম্ভ করলে ভারত জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠে।

যার পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে নারী ও শিশু উন্নয়ন বিষয়ক ইউনিয়ন মন্ত্রী মানেকা গান্ধী মন্ত্রিসভায় এই প্রস্তাব পেশ করেন।যদিও এ ধরনের প্রস্তাব এবারই প্রথম নয়। ২০১২ সালে রাজধানী দিল্লিতে বাসে ‘নির্ভয়া’ ধর্ষণকান্ডের পরও একই প্রস্তাব তোলা হয়েছিল। কিন্তু সেবার মন্ত্রিসভায় ওই প্রস্তাব অনুমোদন পেতে ব্যর্থ হয়।ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ড দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে গত জানুয়ারিতে কেন্দ্র সরকারের এক আইন কর্মকর্তা সুপ্রিম কোর্টে বলেছিলেন, মৃত্যুদন্ড সবকিছুর উত্তর নয়।ভারতের বর্তমান আইন অনুযায়ী অপ্রাপ্ত বয়স্ক ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন এবং সর্বনিম্ম সাজা সাত বছরের কারাদন্ড।কিন্তু দেশটিতে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ধর্ষণের অভিযোগে সাজা হওয়ার হারের চিত্র ভয়ঙ্কর খারাপ। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ধর্ষণের অভিযোগ উঠা প্রতি ১০ জনে মাত্র ৩ জনের সাজা হয়, বাকিরা প্রমাণের অভাবে খালাস পেয়ে যায়।