ছাত্রলীগ নেতা রনির হামলার শিকার সেই কোচিং সেন্টার মালিক রাশেদ মিয়ার অফিস থেকে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, সিসিটিভির রিসিভারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করা হয়েছে। কে বা কারা এসব লুট করেছে, কখন করেছে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলেও রাশেদ মিয়া থানায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।এদিকে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া নুরুল আজিম রনি গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপন করেছেন বলে জানা গেছে।নগরীর পাঁচলাইশ ও চকবাজার থানা পুলিশ তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে।এ বিতর্কিত ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতারে পুলিশ একাধিক স্থানে অভিযানও চালিয়েছে।

তবে পুলিশ খুঁজে না পেলেও ছাত্রলীগ নেতা রনি ফেসবুকে বেশ সক্রিয়। মারধর ও চাঁদাবাজির ঘটনায় করা মামলার পর থেকে শনিবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ফেসবুকে ছয়টি পোস্ট দিয়েছেন। একটি পোস্টে বলেছেন, আমি শিবির করলাম কবে? আমারে গনিমতের মাল বানাতে মিডিয়া ক্যু করা হয়েছে?পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ জানান, রনিকে গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শনিবার রাতেও তাকে ধরার জন্য নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছি। তাকে পাওয়া যায়নি।’চলতি বছরের ১৭ ফেব্র“য়ারি জিইসি মোড়ে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং ইউনিএইডের মালিক রাশেদ মিয়াকে তার কোচিং সেন্টারের অফিসে ঢুকে এক নাগাড়ে ৬ মিনিট চুলের মুঠি ধরে চড়-থাপ্পর মারেন। নিষ্ঠুর এ নির্যাতনের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।২০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে পরে রনি ও তার এক সহযোগীসহ ৮-৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন রাশেদ মিয়া।

এখনও রনি গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মামলার বাদি ও কোচিং সেন্টার মালিক রাশেদ মিয়া। তিনি বলেন, এরই মধ্যে তার অফিস থেকে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, সিসিটিভির রিসিভারসহ মূল্যবান যন্ত্রাংশ লুট করে নেয়া হয়েছে। তাকে যারা মারধর করেছেন ও প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে তার ধারণা।এ ঘটনায় তিনি চকবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান। এর আগে গত ৩১ মার্চ নগরীর চকবাজারে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ জাহেদ খানকে মারধর করে সমালোচিত হন রনি। ওই ঘটনায়ও ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে রনি ও তারসহযোগীদের বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ জাহেদ খান।এছাড়া ২০১৬ সালের ৭ মে হাটহাজারীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া বোর্ড স্কুল কেন্দ্রের বাইরে থেকে অস্ত্রসহ রনিকে আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ২ বছরের সাজা দিয়েছিলেন।