বাজেট অধিবেশনে সড়ক পরিবহন আইনের খসড়া সংসদে উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় যে আইনটি করার চেষ্টা করছে সেটা যুগোপযোগী। সেক্ষেত্রে সময় লাগছে। সড়ক পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কিছুকে এই আইনের মাধ্যমে অ্যাডড্রেস করার চেষ্টা করা হচ্ছে।রোববার দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জ্যেষ্ঠ সহকারী বিচারক ও কর্মকর্তাদের ১৪১তম রিফ্রেশমেন্ট কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, সড়ক পরিবহন আইনটা ২০১৭ সালে খসড়া অনুমোদন হওয়ার পরে এটা নিয়ে তিনটি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা চলছে। এখন আইনটি নিয়ে আমরা ভেটিং পর্যায়ে আছি। যেহেতু এটা একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইন, সেহেতু আমরা সব স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করছি।

তিনি বলেন, আইনটি নিয়ে কেউ যদি ঢালাওভাবে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তার কারণ, আমরা সড়ক পরিবহনের এ-টু জেড দেখছি। যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে, দুর্ঘটনা ঘটলে তারপর কী হবে এবং দুর্ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য প্রশিক্ষণ, লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেস ও রাস্তা। সেসব দিক দেখে এটিকে পরিপূর্ণ আইন করতে সময় লাগছে। এমন না যে এ বিষয়ে কোনও আইন নেই এখন, আইন আছে। কিন্তু সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে যে আইনটি করার চেষ্টা করছে যেটা যুগোপযোগী। সেক্ষেত্রে সময় লাগছে।সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে, আমি অত্যন্ত ব্যথিত। আমি শুধু এটাই বলবো,এগুলোর মামলা যখন আদালতে আসে তখন এটুকু অন্তত আমরা নিশ্চিত করবো যে, শাস্তির মাধ্যমে যাতে সতর্কতা বৃদ্ধি হয়। যে শাস্তি দেওয়া হবে তাতে যেন চালক, গাড়ির মালিক যেন বুঝতে পারেন এরকম অপরাধ করা যাবে না। যথার্থ শাস্তি হবে।দুর্ঘটনা সংক্রান্ত মামলায় বিচার না হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, আদালতে এসে বিচার হয়নি এবং কতগুলো মামলা তদন্তাধীন আছে সেগুলো বের করলে আপনারা (সাংবাদিকরা) এর কারণও বের করতে পারবেন। আমি আপনাদের কাছে সহায়তা চাইছি। আপনারা এই পরিসংখ্যান (সড়ক দুর্ঘটনায় বিচার হয়নি এবং কতগুলো মামলা তদন্তাধীন) বের করুন। তাহলে এ সমস্যা দূরীভূত হবে।আইনটি কবে নাগাদ পাশ হতে পারে তার উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আগামী বাজেট সেশনে এই আইনটি সংসদে উত্থাপনের মত প্রস্তুতি আমাদের আছে।