বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, থাইল্যান্ডে রফতানি বৃদ্ধি করতে ‘ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট‘ (এফটিএ) স্বাক্ষর করা হচ্ছে, উভয় দেশ এ বিষয়ে কাজ করছে।প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ড এফটিএ স্বাক্ষর করবে’- একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে থাইল্যান্ড বাংলাদেশকে ৬ হাজার ৯৯৮টি পণ্য রফতানিতে ডিউটি ফ্রি সুবিধা প্রদান করছে। উভয় দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ইতোমধ্যে পাটজাত পণ্য এবং তৈরি পোশাক রফতানিতে ডিউটি ফ্রি অথবা ন্যুনতম ডিউিটি সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ।

বাণিজ্যমন্ত্রী সোমবার ঢাকায় প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ঢাকাস্থ রয়েল থাই এ্যাম্বাসি আয়োজিত ৪ দিনব্যাপী ‘থাইল্যান্ড উইক-২০১৮’ শীর্ষক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।যন্ত্রাংশ, ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পণ্য, হার্ডওয়্যার, ফলমূল, খাদ্যপণ্য, গৃহস্থালি পণ্য, গিফ্ট এন্ড ডেকোরেটিভ পণ্য, স্টেশনারী, শিশুদের ব্যবহার্য্য পণ্য, তৈরি পোশাক, জুয়েলারী এবং সৈন্দর্য্য বৃদ্ধির বিভিন্ন পণ্যসহ প্রায় ১৮ ক্যাটাগরির পণ্য বিক্রয় ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে মেলায়।
‘থাইল্যান্ড উইক-২০১৮’ আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এবং প্রতিদিন সাকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা দর্শনার্থীদের জন্য থোলা থাকবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কিছুদিন আগে ঢাকায় অনুষ্ঠিত জয়েন্ট ইকোমিক কমিশনের মিটিং-এ আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জনানো হয়েছে। থাইল্যান্ড বিষয়টি বিবেচনার আশ^াস দিয়েছে। এর ফলে উভয় দেশের বাণিজ্য ব্যবধান অনেক কমে আসবে।তিনি বলেন, বাংলাদেশের বহুর মানুষ প্রতিবছর পর্যটন, চিকিৎসা এবং ব্যবসার উদ্দেশে থাইল্যান্ড ভ্রমণ করেন। এ ক্ষেত্রে ভিসা পদ্ধতি সহজ করা থাই কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধি করা হলে উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘রূপকল্প-২০২১’ সফলভাবে বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ডিজিটাল মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবার জন্য প্রয়োজনীয় তিনটি সেক্টরে সফলভাবে যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। আমরা আগামী ২০২৪ সালে পূর্ণাঙ্গরূপে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হবো। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে সফলভাবে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।মেলায় থাইল্যান্ডের ৪৫টি কোম্পানি এবং বাংলাদেশের ২৮টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। মেলায় স্টলের সংখ্যা ৭৯টি।ঢাকাস্থ রয়েল থাই এ্যাম্বাসেডর মিস পানপিমোন সোয়ানাপঙ্গস-এর সভাপতিত্বে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ থাই এ্যাম্বাসির মিনিস্টার কাউন্সিলর (কমার্সিয়াল) বক্তব্য রাখেন। পরে বাণিজ্যমন্ত্রী মেলা ঘুরে দেখেন।