বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে আজীবন ক্ষমতায় রাখবে বলে আশাবাদী দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ। আওয়ামী লীগ চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা করছে বলে বিএনপির অভিযোগের মধ্যেই এক অনুষ্ঠানে নিজের এই আশার কথা দলীয় নেতা-কর্মীদের জানান তিনি। বুধবার গুলিস্তানে কাজী বশির মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন বক্তব্যে হানিফ আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে সহযোগী সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। হানিফ বলেন, বিএনপির আর জনগণের কাছে যাওয়ার কোনো মুখ নেই। আজকে বিএনপির এমন করুণ দশা কেন? এর একটাই কারণ, তাদের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা হত্যা-খুনের রাজনীতিতে জড়িত। আজকে তারেক রহমানের সমস্ত চিন্তা-চেতনা তার পিতার মতো খুনের রাজনীতির।খালেদা জিয়ার দুর্নীতি-হত্যার রাজনীতি এ দেশের জনগণ আর চায় না। জননেত্রী শেখ হাসিনা যতদিন জীবিত আছেন, ততদিন পর্যন্ত জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকবে, জননেত্রী শেখ হাসিনা ততদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। শেখ হাসিনাকে কোনোভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে না বলে বিএনপিকে হুঁশিয়ার করেন হানিফ।১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে সরকার পরিচালনার পর ২০০৯ সালে পুনরায় সরকার গঠন করেন শেখ হাসিনা। এরপর ২০১৪ সালে বিএনপিকে বাদ রেখে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হন। ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছেন তিনি।আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ পরিচালনার অভিযোগ তুলে বিএনপি নেতারা বলে আসছেন, শেখ হাসিনা চিরদিন ক্ষমতায় থাকার পথ তৈরি করছেন।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ নেতা, কর্মী, ভাইদের অনুরোধ করব, আসুন নির্বাচনের আগে অশুভ শক্তির সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় নিয়ে আসি।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেককে ‘পাকিস্তানের নাগরিক’ বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল বলেছেন, তারেক রহমান জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক। মিথ্যাচার করবেন না।তারেক রহমানের জন্ম হয়েছিল পাকিস্তানের করাচিতে। জন্মসূত্রে নাগরিক হলে তারেক রহমান পাকিস্তানের নাগরিক।বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেনের উদ্দেশে হানিফ বলেন, “মোশাররফ হোসেন সাহেব বললেন যে তারেক রহমানকে আইনি হত্যা করার চেষ্টা করছে সরকার। আইনি হত্যা বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন?আইনের মাধ্যমে সঠিক বিচার হলে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তারেক রহমানের সর্বোচ্চ দ- হতে পারে- এই ধারণা করছেন? তার মানে কি আপনারা নিজেরাও প্রমাণ করছেন যে তারেক রহমান একজন খুনি? মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি বায়জিদ আহম্মেদ খানের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু, মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান আনিস, সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান রানা, ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন।