বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম ফাহিম মাসরুরকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার মামলায় আটকের চার ঘণ্টা পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে বুধবার বিকাল ৫টার দিকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সাইবার ক্রাইম বিভাগের এডিসি নাজমুল ইসলাম জানিয়েছেন।তিনি বলেন, তার কাছ থেকে কিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তার ফেসবুক আইডির মতো আরেকটি আইডি থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সরকারকে বিদ্রুপ করা হয়েছে।এটি কারা করেছে সেটাও তদন্ত করে খুঁজে বের করা হবে। বিনা কারণে পুলিশ কাউকে হয়রানি করবে না। এজন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলে তাকে যাতে পাওয়া যায় সেজন্য তার কাছ থেকে মুচলেকা রাখা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা জানান।এবিষয়ে জানতে ফাহিম মাসরুরের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এর আগে বেলা ১টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বিডিজবসের কার্যালয় থেকে তাকে আটক করার কথা এডিসি নাজমুলই জানিয়েছিলেন।পরে পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন।
গত ২২ এপ্রিল রাজধানীর কাফরুল থানায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মো. আল সাদিক এই মামলা করেন।মামলার এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে উসকানিমূলকভাবে মিথ্যা ও অপমানমূলক স্ট্যাটাস ও তথ্য আপলোড করে অপপ্রচারের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরি¯ি’তির অবনতিসহ দেশের অরাজক পরিস্থিতি ও অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করার অপরাধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় ফাহিম মাসরুরের বিরুদ্ধে এই মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।এতে অভিযোগ করা হয়, ফাহিম মাসরুরের ফেইসবুক আইডি থেকে প্রধানমন্ত্রীর ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন আপলোড ও শেয়ার করা হয়েছে। অভিযোগের সঙ্গে বাদী এধরনের ৮টি স্ক্রিনশট যুক্ত করেন বলে এজাহারের লেখা হয়েছে।প্রায় দেড় যুগ আগে ফাহিম মাসরুর দেশে চাকরির সবচেয়ে বড় অনলাইন বাজার বিডিজবস প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বাংলা সোশ্যাল মিডিয়া বেশতো এবং ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আজকের ডিলেরও প্রধান নির্বাহী।ফাহিম দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) নির্বাহী কমিটির পরিচালক। এর আগে তিনি সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন।