এবার থেকে একাদশ শ্রেণিতে কলেজ ও মাদ্রাসায় ভর্তির ক্ষেত্রে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। আর মেধার ভিত্তিতে ভর্তির পরে কোটায় অতিরিক্ত ভর্তি করা যাবে। মেধা তালিকায় নির্বাচিত হওয়ার পরও কারও ভর্তি নিশ্চিত না করলে আবার আবেদন করতে পারবে। সোমবার (৩০ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় চূড়ান্ত করা ভর্তি নীতিমালায় এ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নীতিমালা চূড়ান্ত করতে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন।আগামী ৬ মে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ১৩ মে, শেষ হবে ২৪ মে।

গত বছর ভর্তির ক্ষেত্রে নিয়ম ছিল মেধায় ৮৯ শতাংশ। বাকি ১১ শতাংশ ভর্তি করা হতো কোটায়। তবে এবার একাদশে ভর্তি শতভাগ মেধার ভিত্তিতে করা হবে। অতিরিক্ত হিসেবে বিশেষ কোটায় মুক্তিযোদ্ধা-৫ শতাংশ, বিভাগীয় ও জেলা সদর-৩ শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধঃস্তন দফতরগুলো দুই শতাংশ, বিকেএসপি শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ এবং প্রবাসী শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ ভর্তি করা হবে। যদি এসব কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী না পাওয়া যায় তবে এ আসনে অন্য কাউকে ভর্তি করা যাবে না।নীতিমালায় বলা হয়েছে, গতবারের মতো এবারও অনলাইন এবং এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন নেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অনলাইনে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা মাদ্রাসায় আবেদন করা যাবে। এর জন্য নেওয়া হবে ১৫০ টাকা। মোবাইল ফোনে প্রতি এসএমএসে একটি করে কলেজে আবেদন করা যাবে। এর জন্য ১২০ টাকা দিতে হবে। তবে এসএমএস এবং অনলাইন মিলিয়ে কোনও শিক্ষার্থী ১০টির বেশি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবে না। প্রতিবারের মতো এবারও ভর্তি কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে বুয়েট।

ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে পাঁচ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকার মধ্যে আংশিক এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য বাংলা ভার্সনে ৯ হাজার টাকা, ইংরেজি ভার্সনে ১০ হাজার টাকা ভর্তির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সব প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্নয়ন ফি তিন হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না। প্রতিটি খাতে অর্থ আদায়ের ক্ষেত্রে রশিদ দেওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।এছাড়াও মফস্বল ও পৌর এলাকার জন্য ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার টাকা, পৌর জেলা সদরে দুই হাজার টাকা, ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না।

নীতিমালা অনুযায়ী, একাদশ শ্রেণির অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে ১৩ মে। আগামী ২৪ মে পর্যন্ত চলবে। ২৭ থেকে ৩০ জুনের এ ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে হবে। পহেলা জুলাই থেকে ক্লাস শুরু করতে হবে। যদি কেউ ভর্তি নীতিমালা লঙ্ঘন করে তবে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পাঠদান অনুমতি বা এমপিওভুক্তি বাতিল করা হবে, সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভর্তির ক্ষেত্রে নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পাবে।সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, রাজধানীর সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।