ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মের কাছে পাঠানো পদত্যাগ পত্রে রাড বলেছেন, তিনি অবৈধ অভিবাসীদের সরানোর বিষয়ে ‘অসাবধানতাবশত’ পার্লামেন্ট সদস্যদের ‘ভুল পথে’ চালিত করেছেন।প্রধানমন্ত্রী মে তার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

রোববার রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বের হয়ে যাওয়ার আগে চূড়ান্ত বছরের আলোচনা চলার সময় নিজের রক্ষণশীল দলের ঘনিষ্ঠ মিত্রকে হারানো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি ধাক্কা।কথিত ‘উয়িন্ডরাশ জেনারেশনের’ কিছু উত্তরসূরীকে কেন তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, গত দুই সপ্তাহ ধরে এটি ব্যাখ্যা করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন ব্রিটিশ মন্ত্রীরা।১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে শ্রমিক ঘাটতি পূরণের উদ্দেশ্যে কমনওয়েলথ দেশগুলো থেকে যাদের ব্রিটেনে নিয়ে আসা হয়েছিল তাদের উত্তরসূরীদেরই ‘উয়িন্ডরাশ জেনারেশন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।এ বিষয়ে প্রশ্নের মুখে গত বুধবার ৫৪ বছর বয়সী রাড ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্যদের বলেছিলেন, অভিবাসীদের সরানোর কোনো লক্ষ্য ব্রিটেনের নেই।

কিন্তু এ ধরনের লক্ষ্য ব্রিটেনের আছে, ফাঁস হওয়া নথিতে এটি প্রকাশ পাওয়ার পর পার্লামেন্ট সদস্যরা রাডকে তার বক্তব্য স্পষ্ট করার জন্য চাপ দেন।বিরোধী দল লেবার পার্টি বারবার রাডকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানাতে থাকে। দলটি ‘উয়িন্ডরাশ’ কেলেঙ্কারারি জন্য মে-কেও দায়ী করে এবং সরকারের অভিবাসন নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিজের অবস্থানও ব্যাখ্যা করার দাবি জানায়।এ পরিস্থিতিতে গত বছর প্রধানমন্ত্রী মে-কে লেখা রাডের একটি চিঠি রোববার প্রকাশ করে গার্ডিয়ান। এতে দেখা যায় রাড অভিবাসীদের জোর করে বিতাড়ণের প্রক্রিয়া গতিশীল করার ‘লক্ষ্য’ নির্ধারণ করেছেন।অভিবাসীদের বিতাড়ণের বিষয়ে নিজের বক্তব্য একের পর এক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ার পর রোববার প্রধানমন্ত্রী মেকে ফোন করে রাড পদত্যাগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তার পদত্যাগের প্রস্তাবে সম্মতি দেন মে।২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন রাড। তার পদত্যাগের পর শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে নতুন কারও নাম ঘোষণা হয়নি।