গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ মে। এ নির্বাচনকে ঘিরে পুরো গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকা এখন নির্বাচনী জোয়ারে ভাসছে। সর্বত্রই উৎসব আমেজ বিরাজ করছে। সিটি কর্পোরেশনের সর্বত্রই প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকদের পদচারণা এবং মাইকিংয়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পুরো নির্বাচনী এলাকা। নিজ প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ভোটারের খোঁজে সবাই হন্যে হয়ে ছুটছেন। ঝড় বৃষ্টিসহ কোন বাঁধাই তাদের থামাতে পারছে না।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের এবারের নির্বাচনে প্রার্থীরা শুক্রবার সকাল হতে রাত পর্যন্ত ব্যপক গণসংযোগ, বৈঠক ও পথসভার মধ্য দিয়ে ব্যস্ত দিন কাটিয়েছেন। জুম্মাবার হওয়ায় এদিন প্রার্থীরা তাদের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করেছেন। এসময় তারা মুসুল্লীদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেছেন, কথা বলেছেন এবং ভোট ও দোয়া চেয়েছেন। এদিনেও ঝড় বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রার্থীরা পাড়া-মহল্লায়, দোকানপাট, কলকারখানায় ও ভোটারদেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে গিয়ে গণসংযোগ করেছেন এবং প্রচারপত্র বিতরণ করে ভোট চাইছেন। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন জোট এবং মহাজোটের শরীকদলগুলোর কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে এখনো পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদিন বিএনপিসহ ২০দলীয় জোটের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের সমাগম ঘটলেও আওয়ামীলীগ বা ১৪ দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় নেতাদের পদচারণা তেমনটি ঘটছে না। তাই এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে নানা গুঞ্জন রয়েছে।
এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে মোট ৭জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সবার দৃষ্টি আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা) ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের (ধানের শীষ) দিকে। হেভিওয়েট এ দু’প্রার্থী যেখানে যাচ্ছেন সেখানেই ভোটার ও কর্মী সমর্থকরা ভীড় জমাচ্ছেন। এ দু’প্রার্থীর পথসভা পরিনত হয় জনসভায়। তবে নির্বাচনী প্রচারে পিছিয়ে নেই অন্য ৫ মেয়র প্রার্থী এবং সাধারণ আসনের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলররাও। জয়ের ব্যপারে আশাবাদী হয়ে তারাও হন্যে হয়ে ছুটছেন ভোটারদের কাছে। বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার বৃহষ্পতিবার ১৯ দফা ইশতেহার ঘোষনা করলেও আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম এখনো নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করেননি। তবে শুক্রবার সকালে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী কাজী রুহুল আমিন তার ৯ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। জেলা শহরের পৌর মার্কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই ইশতেহার ঘোষণা দেন তিনি।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ মে। এ নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচনী উত্তাপ ইতোমধ্যে দেখা দিয়েছে। নির্বাচনী উত্তাপ ক্রমশঃ বাড়ছে এবং তা গাজীপুরসহ আশেপাশের এলাকাগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ছে। উত্তাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রার্থীদের নানা অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। অভিযোগের আঙ্গুল তোলা হচ্ছে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগ ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের উপস্থিতিতে গাজীপুরে অনুষ্ঠিত এক মত বিনিময় সভায় আওয়ামীলীগ দাবী করে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে বিএনপির গণসংযোগ ও প্রচারণায় বিভিন্ন মামলার আসামি ও সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। জবাবে নির্বাচন কমিশনার জানান, এ বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ নেই। অপরদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনা-গণসংযোগে অংশ গ্রহণকারী নেতা-কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার ও পুলিশী হয়রানীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গাজীপুরের পুলিশ সুপারের প্রত্যাহারের বিষয়ের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমি জানিনা এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে নির্দিষ্ট করে কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কিনা। সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ না থাকলে এনব বক্তব্যই গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়না। যদি কাউকে বদলী করতে হয়, তাহলে একটা নির্দিষ্ট অভিযোগ আনতে হবে এবং সেই নির্দিষ্ট অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে হবে। নির্বাচন কমিশন তখন তা চিন্তা করে দেখবে এ অভিযোগের পেছনে কতটা সত্যতা রয়েছে। কিন্তু ঢালাভাবে কেউ বললে কারো প্রত্যাহারের ব্যাপারে নির্দেশ দিতে পারব না।
প্রার্থীদের পথসভা ঃ
আওয়ামীলীগ প্রার্থী ॥ শুক্রবার সকাল থেকেই আওয়ামীলীগ বা ১৪ দলীয় জোটের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম কর্মী সমর্থকদেও নিয়ে গণসংযোগে নেমে পরেন। তিনি সকালে সিটি কর্পোরেশনের ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের গাজীপুরা বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে নির্বাচনী প্রচারণার কাজ শুরু করেন। জুমার নামাজের আগে পর্যন্ত ৫০ ও ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী মোজাম্মেল হক সড়ক এবং সাতাইশ এলাকায় গনসংযোগ ও পথসভার মাধ্যমে ভোট চান এবং লিফলেট বিতরণ করেন। নির্বচনী গণসংযোগকালে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হলে কর্মী সমর্থকরা বৃষ্টিতে ভিজেই গণসংযোগ অব্যাহত রাখেন। পরে সাতাইশ স্কুলে কেন্দ্র কমিটির আহ্বায়ক, সচিব এবং সদস্যদের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠকে নেতৃবৃন্দ ঘরে ঘরে ভোট চাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। দুপুরে তিনি সাতাইশ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করেন। তিনি মুসল্লিদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন এবং নৌকা প্রতীকে ভোট চান।
এসময় তিনি ভোটার ও মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভোট মানে এলাকার উন্নয়ন। ভোট মানে নাগরিক সেবা। ভোট মানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, আবাসিক ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানিসহ সকল প্রকার নাগরিক সুবিধা। কেন্দ্রীয় সরকার এবং স্থানীয় সরকারের সমন্বয়ে এই সব সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব। গত নির্বাচনে প্রতিপক্ষ দলের প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হয়ে গত পাঁচ বছর উন্নয়ন করেন নি। বরং সরকারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্তে লিপ্ত ছিলেন। আমি নির্বাচিত হলে সরাসরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগীতা নিয়ে এলাকাবাসির সব সুবিধা নিশ্চিত করবো ইনশাল্লাহ। আপনাদের মাধ্যমে আমি এলাকার সকল শ্রেনীর মানুষের কাছে ভোট ও দোয়া চাই। আমি আপনাদের সহযোগীতা চাই।
নামাজের পর তিনি ৪৬ ও ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের মিলগেইট, হিমার দিঘী, তিস্তার গেট, হকের মোড়, নতুনবাজার, স্টেশন রোড,ব্যাংকের মাঠ ও গোপালপুর এলাকায় গনসংযোগ করেন। গণসংযোগকালে তিনি গাজীপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে, সিকদার মার্কেট, বাইগার টেক, সাতাইশ রোডের ভিয়েলাটেক্স কারখানার সামনে, খরতৈল মোড়, সাতাইশ চৌরাস্তা, মিলগেট, লামাবাজার, মুন্নু গেট, স্টেশন রোড, নোয়াগাঁও, তিস্তার গেট, হকের মোড়, দত্তপাড়া চেরাগ আলী মার্কেটের সামনেসহ বেশ কয়েকটি স্থানে পথসভায় বক্তব্য রাখেন।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী মোজাম্মেল হক, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান, অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ইলিয়াস আহমেদ, উপদেষ্টা জালাল উদ্দিন মাষ্টার, টঙ্গী থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রজব আলী, মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক নীলিমা আক্তার লিলি, জাতীয় পার্টি মহানগর সাধারন সম্পাদক মো. জয়নাল আবেদীন, বাংলাদেশ ইমাম সমিতি গাজীপুর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহ, গাজীপুর জেলা শ্রমজীবি সমণ¦য় পরিষদের সভাপতি আবুল হাসেম মোল্লা, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও শিল্প শ্রমিক ঐক্য পরিষদের গাজীপুর জেলা সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সংযুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডরেশন গাজীপুর জেলা সাধারন সম্পাদক নাসরিন আক্তার, টঙ্গী থানা ছাত্রলীগ সভাপতি কাজী মঞ্জুর, সা. সম্পাদক রেজাউল করিম, প্রাইভেট মাদ্রাসা সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মাওলানা এইচ এম শাহ আলম, গাজীপুরস্থ রংপুর বিভাগ জনকল্যাণ সংস্থার সভাপতি আশরাফ আহমদ খান সহ প্রমূখ নেতারা।
বিএনপি প্রার্থী ॥ এদিকে ২০ দলীয় জোটের বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার এদিন সকালে মহানগরের উত্তরপ্রান্ত গাজীপুর গ্রাম থেকে গনসংযোগ শুরু করেন। পরে তিনি ভাওরাইদ, হাতিয়াব, পোড়াবাড়ি এলাকায় গনসংযোগ শেষে তিনি বাংলা বাজার জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন। নামাজের পর তিনি গজারিয়াপাড়া, বাংলাবাজার, ভীমবাজার, মাষ্টারবাড়ি ও সালনাসহ বিভিন্ন এলাকায় পথসভা করে গনসংযোগ করেন। এ সময় বিএনপির জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য একেএম ফজলুল হক মিলন ও সাধারণ সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সভাপতি এড. এমদাদ খান, গাজীপুর বারের সাবেক সভাপতি এড. সুলতান উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও নগরীর ১৮ নং ওয়ার্ডে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, ভিপি হারুনুর রশিদ, মশিউর রহমান বিপ্লব, শাহানা আক্তার, আব্দুল খালেক হাওলাদার, ডা. হারেছ মোল্লা, ৩১ নং ওয়ার্ডে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, কেন্দ্রীয় নেতা ফিরোজ উজ জামান, হাবিবা, শামীম, জাহাঙ্গীর ২নং ওয়ার্ডে বিএনপির কেন্দ্রীয় শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, পেশাজীবী গাজীপুর জেলার সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুবনেতা আনোয়ার হোসেন, ১১ নং ওয়ার্ডে বিএনপি কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল খান, কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তফা খান সফরী, মিজানুর রহমান সরকার, নাজমূল হাসান,কাজী সামসুল হুদা, ২৫ নং ওয়ার্ডে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য একরামূল হক বিপ্লব, সালাউদ্দিন ভূঁইয়া, বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা কামাল আনোয়ার, ভিপি ইব্রাহিম, ৪১নং ওয়ার্ডে বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ করেন এবং ভোটারদের কাছে ভোট চান।
ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী ॥ অপরদিকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইসলামী ঐক্যজোট মনোনীত মেয়র প্রার্থী মাওলানা ফজলুর রহমান শুক্রবার সকালে সিটি কর্পোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ডের সালনা এলাকায় ওলামায়ে কেরামের সঙ্গে বৈঠক করেন। সকাল ১০ টার দিকে ইসলামী ছাত্র খেলাফতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আমবাগ, নছের মার্কেট, হাজি মার্কেট, নূর মার্কেট এলাকায় গণসংযোগ করেন ও প্রচারপত্র বিলি করেন। পরে তিনি টঙ্গি বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন এবং জুমার খুতবা পূর্ব সময়ে মুসল্লিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় তিনি তার মীনার প্রতীকে সকলের ভোট ও দোয়া কামনা করেন। বিকালে তিনি টঙ্গী কলেট গেট ও আশপাশের এলাকায় গণসংযোগে সময় পার করেন। এছাড়া ইসলামী ঐক্যজোট গাজীপুর জেলার মহাসচিব মাওলানা ফয়জুল্লাহ ও যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মুখলেছুর রহমান ও জেলা কার্যকরী সদস্য মাওলানা মুফতী আব্দুল কাদের মোল্লা, মাওলানা শফিকুল ইসলাম ২০, ২১ ও ২২ নং ওয়ার্ড এলাকায় গণসংযোগ করেন।
মোস্তাফিজুর রহমান টিটু, গাজীপুর ও নুরুল ইসলাম, টঙ্গী