বিড়াড়িত রোহিঙ্গারা দ্রুত তাদের স্বদেশ মিয়ানমারে ফিরে নিরাপদে বসবাস করুক, সেটাই চায় কানাডা।শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে নিজ দেশের এই অবস্থানের কথা জানান কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড।ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম আলোচনার বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের জানান।

ইসলামী সম্মেলন সংস্থা-ওআইসি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রিল্যান্ড।প্রেস সচিব বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী এই ক্ষেত্রে কানাডা বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং সহায়তার জন্য প্রস্তুত।গত বছরের অগাস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযানের মুখে বাংলাদেশ সীমান্তে ঢল নামে মুসলিম রোহিঙ্গাদের। নিপীড়িত সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আগে থেকে আছে আরও চার লাখের মতো রোহিঙ্গা।জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতক সংস্থা ও দেশের চাপে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে গত ডিসেম্বরে চুক্তি করলেও শরণার্থী প্রত্যাবাসনে কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে ক্রিস্টিয়াকে জানান শেখ হাসিনা।
এ লক্ষ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি করার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কিন্তু বাস্তবে মিয়ানমার চুক্তি অনুযায়ী কাজ করছে না। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সেদেশে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফেরত দেওয়ারও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। প্রেস সচিব বলেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ বার্তা পৌঁছে দেবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া।