রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ সন্ত্রাসবাদ ও উগ্র-জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সর্বদা জিরো টলারেন্স প্রদর্শন করে আসছে, অতএব সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্র“তিবদ্ধ।সৌদি আরবের (কেএসএ) পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল বিন আহমেদ আল জুবের শনিবার বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি বলেন, ইসলামে সন্ত্রাসবাদের কোন জায়গা নেই- এই সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে বাংলাদেশ সৌদি সরকারের সঙ্গে এক সঙ্গে কাজ করবে।রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ রিয়াদে ইসলামিক মিলিটারী কাউন্টার টেরোরিজম কোয়ালিশন (আইএমসিটিসি) গঠনে সৌদি বাদশাহ’র প্রচেষ্টার উচছ¡সিত প্রশংসা করেন। সেখানে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে ওই জোটে অংশ নেয়। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন বাসসকে একথা জানান।বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যকার বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে অত্যন্ত চমৎকার উল্লেখ করে আব্দুল হামিদ বলেন, বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরো জোরদার হবে।

বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য সকল কেটাগরিতে শ্রমবাজার খুলে দেয়ার জন্য তিনি সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং দু’টি ভ্রাতৃপ্রতীম মুসলিম দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে তাদের সহযোগিতা কামনা করেন।সাক্ষাতকালে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে আগামী দিনগুলোতে সৌদি সরকারের সর্বিক সহযোগিতা ও সমর্থন অব্যাহত থাকবে।আদেল বিন আহমেদ রোহিঙ্গা ইস্যুতে সহয়োচিত পদক্ষের গ্রহণের জন্যও বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন এবং এই সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে তার দেশ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে জানান।এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত কেএসএ-এর রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ এইচ এম আল মামুন, রাষ্ট্রদূত খালেদ আলংগিরী, কেএসএ উপমন্ত্রী আব্দুল রহমান আলরাসী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ ও রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।