গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন রবিবার উচ্চ আদালতের দেয়া স্থগিতাদেশের পর বিকেলে টঙ্গীস্থ নিজ বাড়ীতে নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার এক সংবাদ সম্মেলনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বক্তব্য দেন। এসময় উত্তেজিত নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করে। এসময় পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যানসহ আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ ১৩ জনকে আটক করে। তবে পুলিশ জানায় এপর্যন্ত ১০জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেখানে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

জেলা বিএনপি’র সভাপতি একেএম ফজলুল হক জানান, সংবাদ সম্মেলন শেষে বিকেল ৫টার দিকে টঙ্গী থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ওই বিএনপি নেতার সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। এসময় সংবাদ সম্মেলনস্থল থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ ১০ নেতা কর্মীকে আটক করে। এসময় নোমানের গাড়ীসহ বিএনপি’র অন্য নেতৃবৃন্দেও গাড়ী তল্লাশি করে পুলিশ। আটককৃত অন্যরা হলেন- সোহেল (রাঙ্গামাটি), শহীদুল ইসলাম (চট্রগ্রাম), মাসুদুর রহমান শাকিল (মেহেন্দিগঞ্জ, বরিশাল), কবির আহমেদ (নরসিংদী), টঙ্গী এলাকার আব্দুল কাইয়ুম, একই এলাকার কাজী মোশারফ, আলাউদ্দিন, আব্দুল্লাহ ও ফরিদ। পরে পুলিশ সেখান থেকে আরো তিনজনকে আটক করে। আটককৃতদের টঙ্গী মডেল থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের ওই বাসার আশেপাশে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এব্যাপারে গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল শেখ জানান, রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, গাড়ী ভাংচুর ও জনমনে আতংক সৃষ্টির অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে আব্দুল্লাহ আল নোমান সহ ১০জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেখানে পুলিশের আরো অভিযান চলছে।