বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে বুধবার (৯ মে) ঢাকায় বিক্ষোভ করবে বিএনপি। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। আমরা রোববার (৬ মে) রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। পুলিশ সাফ জানিয়ে দিয়েছে বিএনপিকে কোথাও সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। সমাবেশ করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে বুধবার ঢাকার প্রতিটি থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। তিনি বলেন, সরকার জন আতঙ্কে ভুগছে। তারা জনগণ দেখলেই ভয় পায়। এজন্য বিরোধী দলকে কোনো কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছে না। সরকারের এমন অগণতান্ত্রিক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। রিজভী বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ নেতারা এমন কথা নেই যা বলছেন না। এই সরকারের পতন হলে এই নেতারাই সবার আগে উল্টো কথা বলবেন। যা বলেছিলেন ১/১১ সরকারের সময়।

তিনি বলেন, আজকে অসুস্থ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও তার মুক্তির দাবিতে ঢাকায় যে সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল সেটি পুলিশ সরকারের কথা শুনে অনুমতি দেয়নি।আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে ঘোষণা করছি, এর প্রতিবাদে আগামী ৯ মে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের প্রতিটি থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে।জিয়ার মুক্তির দাবিতে সোমবার ঢাকাসহ সারাদেশে মহানগর ও জেলা সদরে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল বিএনপি। ঢাকায় নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল বেলা ২টায়।

রিজভী বলেন, আমরা গতকাল সমাবেশের অনুমতির জন্য সারাদিন এবং কি অনেক রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের জানিয়েছে যে, বিএনপিকে কোথাও সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না।এই জালিম সরকার জন আতঙ্কে ভুগছে বলে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দিচ্ছে না। আমরা সরকারের এহেন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।এদিকে সমাবেশের ঘোষণা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ব্যাপক পুলিশ ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। কার্যালয়ের কাছাকাছি স্থানে রাখা হয়েছে জলজামানের গাড়ি, সাঁজোয়া যান ও প্রিজন ভ্যান।

গাজীপুরের নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে সংবিধানের ১২৫ এর (গ) অনুচ্ছেদের উদ্ধৃতি দিয়ে রিজভী বলেন, সেখানে বলা আছে কোনো আদালত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হইয়াছে এইরূপ কোনো নির্বাচনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে যুক্তিসঙ্গত নোটিশ ও শুনানির সুযোগ প্রদান না করে অন্তবর্তী বা অন্য কোনো উপায়ে কোনো আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করিবে না। তিনি প্রশ্ন করেন তাহলে এটা কিভাবে হলো? তিনি আরও বলেন, রোববার (৬ মে) খুলনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে গাজীপুরের নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। যদি তাই হয় তাহলে এটা কিভাবে সম্ভব হলো, এটা আমার জানা প্রয়োজন বলে মনে করছি।সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, বেলাল আহমেদ, হাফেজ আবদুল মালেক, শাহ নেসারুল হক ও ডা. সালাহউদ্দিন মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।