খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতি’ হলে তা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদ ও গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিত জোটের যৌথ উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই ঘোষণা দেন।তিনি বলেন, কোনো রকমের ছলচাতুরি করে ওই নির্বাচন কমিশনে গিয়ে আগে-ভাগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই বলে আপনারা যে নাটক করছেন। শুধুমাত্র একটাই উদ্দেশ্য- ভোটের দিন ভোট ডাকাতি করতে চান। এটা দেশের মানুষ জানে, খুলনার জনগণ জানে।আমরা বলতে চাই, খুলনার জনগণ প্রস্তুত আছে-যে কোনো ভোট ডাকাতির পরিকল্পনা করা হোক না কেন ইনশাল্লাহ খুলনার জনগণ সেটা প্রতিহত করবে।আগামী ১৫ মে খুলনা সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ হবে।
ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে দাবি করে মোশাররফ বলেন, খুলনায় গাজীপুরের মতোই ঠিক একইভাবে বিএনপির পক্ষে গণজোয়ার। সেই গণজোয়ারকে আজকে তারা ভয়ে ভীতি হয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এইচটি ইমাম একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে গিয়ে নির্বাচন কমিশনে বলেছেন যে, খুলনায় নাকি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই। এই ধরণের কথা শুনে আসলে কী মন্তব্য করবো- একটা শিশুও হাসবে। যেখানে সরকার, আওয়ামী লীগ তাদের নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, তারা সকলে মিলে বিএনপির বিরুদ্ধে নির্বাচনে নেমেছে। গতকাল এক রাতে আমাদের দেড়শ নেতা-কর্মী নির্বাচনে ভূমিকা রাখছেন তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের প্রার্থী বলেছেন, পুলিশি হয়রানি করা হচ্ছে। আর সেই পক্ষ এসে ইসিতে বলেছে, সেখানে নাকি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই। কেন এটা বলেছেন, এজন্য যে গাজীপুরের মতো খুলনায়ও গণজোয়ার ঠেকতে পারছেন না। সেজন্য ভোটের দিন অথবা ভোটের আগের রাতে ভোট চুরির পরিকল্পনা’ ক্ষমতাসীনদের রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া দেশে একাদশ নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা সরকারকে বলতে চাই, বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখবেন আর দেশে একাদশ নির্বাচন হয়ে যাবে- এটা জনগণ হতে দেবে না।খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জাতীয় দলের সভাপতি সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনিডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মনজুর হোসেন ঈসা ও গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি হুমায়ুন কবির ব্যাপারী বক্তব্য দেন।