যশোর জেলা তরুণ লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ অটোবাইক শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মনিরুল ইসলাম (৪০) কে বোমা ও গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এঘটনায় একজন আহত হয়েছে। সোমবার রাত ১২টার দিকে শহরতলীর পালবাড়ি ভাস্কর্যের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে লাশ নিয়ে শহরে মিছিল বের হয় ও ইজিবাইক ধর্মঘট ডাকা হয়। নিহত মনিরুল ইসলাম পুলিশ লাইন টালিখোলা এলাকার ফজলুর রহমানের ছেলে। আহত সন্তোষ ঘোষ (৩৬) কে আড়াইশ শয্যার যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি পুরাতন কসবা ঘোষপাড়া এলাকার নারায়ণ ঘোষের ছেলে।স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাত আনুমানিক ১২টার শহরতলীর পালবাড়ি ভাস্কর্যের মোড়ে তরুণলীগের অফিসে বসে ছিলেন মনিরুল। এ সময় অজ্ঞাত নামা নয়-দশ জন তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে সাত-আটটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী খুব কাছ থেকে মনিরুলকে পর পর দু রাউন্ড গুলে করে। এক রাউন্ড গুলি মনিরুলের কপালে বিন্ধ হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে মনিরুলকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মনিরুলের লাশ নিয়ে শহরে মিছিল হয়। ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার বেলা ১টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতাল চত্বর থেকে মিছিলটি বের করা হয়। হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বের হওয়া মিছিলটি শহরের দড়াটানা হয়ে পুলিশ লাইন টালিখোলা এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।অপরদিকে হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে সকাল থেকেই শহরে ইজিবাইক চলাচল বন্ধ ছিল।

বাংলাদেশ অটোবাইক কল্যাণ সোসাইটি জেলা শাখার সভাপতি আসাদুজ্জামান সুমন বলেন, হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে বাদ আসর (জানাজা সময়) পর্যন্ত ইজিবাইক ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আগামিকাল মঙ্গলবার পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে। রোববার রাত ১২টার দিকে শহরের পালবাড়ি মোড়ে কুপিয়ে ও বোমা মেরে মনিরুল ইসলামকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় সন্তোষ ঘোষ (৩৫) নামে অপর এক যুবক আহত হয়েছেন।নিহত শেখ মনিরুল ইসলাম যশোর জেলা তরুণ লীগ ও বাংলাদেশ অটোবাইক কল্যাণ সোসাইটি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের অনুসারী।এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও ইজি বাইকের চাঁদাবাজি নিয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত শহরের পালবাড়ি এলাকার রবিউল, মোস্তর সঙ্গে মনিরুলের বিরোধ ছিল। এ ঘটনার জের ধরে মনিরুলকে প্রতিপক্ষের লোকজন হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।যশোর কোতয়ালি থানার ওসি একেএম আজমল হুদা বলেন, তরুণলীগ নেতা মনিরুলকে মাথায় কুপিয়ে ও বোমা মেরে হত্যা করা হয়েছে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের অনুসারী ছিলেন। প্রতিপক্ষের লোকজন মনিরুলকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। এঘটনায় মামলা হয়নি। কেউ আটকও হয়নি।