সব প্রস্তুতি শেষ। এখন শুধু ক্ষণ গণনা। এরপরই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন বৃটিশ যুবরাজ প্রিন্স হ্যারি ও মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কল। শনিবার যুক্তরাজ্যের সেইন্ট জর্জ চ্যাপেলে হবে এই রাজকীয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। এ নিয়ে পুরো যুক্তরাজ্যে বিরাজ করছে ব্যাপক উত্তেজনা। ইতিমধ্যেই উইন্ডসোর শহরে হাজির হয়েছেন লাখো মানুষ।

১৯শে মে সকাল সকালই লন্ডনের উইন্ডসর ক্যাসেল প্রাঙ্গণে রাজকীয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। কালো-সোনালী বর্ণের ঐতিহ্যবাহী নিমন্ত্রণপত্র এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে ৬০০ বিশেষ অতিথির কাছে। বেস্ট ম্যান হিসেবে প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে চার্চে প্রবেশ করবেন বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়াম। আরও থাকবেন তার স্ত্রী ডাচেস অফ ক্যামব্রিজ কেট মিডলটন। বিয়ের দিন সকালে মায়ের সঙ্গে উইন্ডসর ক্যাসেলে যাবেন মেগান। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে দর্শণার্থীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন নবদম্পতি।

বিয়েতে বিভিন্ন দেশের রাজপরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। বিয়ে পরবর্তী নৈশভোজে আরও ২০০ অতিথির মধ্যে থাকবেন ব্রিটিশ গায়ক এলটন জন, হলিউড অভিনেতা জর্জ ক্লুনি ও তার স্ত্রী আমাল ক্লুনি, বলিউডের প্রিয়াংকা চোপড়াসহ মেগান মার্কেলের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা। নব্বই এর দশকের বিখ্যাত মেয়েদের ব্যান্ড ‘স্পাইসগার্লস’ এর সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন অনুষ্ঠানে।

অভিনেত্রী মার্কলের সঙ্গে গত বছরের নভেম্বরেই বাগদান করেন ব্রিটিশ সিংহাসনের পঞ্চম উত্তরাধিকারী প্রিন্স হ্যারি। পরস্পরের বন্ধুদের মাধ্যমে ২০১৬ সালের জুলাইয়ে এ জুটির পরিচয় হয়। মেগান মার্কল বয়সে প্রিন্স হ্যারির চেয়ে তিন বছরের বড়। যুক্তরাষ্ট্রের টিভি সিরিজ ‘ফ্রিঞ্জ’ ও ‘স্যুটস’য়ে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পাওয়া মেগানের আগে একবার বিয়ে হয়েছিল। গত সেপ্টেম্বরেই তারা জুটি হিসেবে প্রথম জনসমক্ষে আসেন। ভ্যানিটি ফেয়ারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রিন্স হ্যারিকে ‘বয়ফ্রেন্ড’ সম্বোধন করে মার্কল বলেছিলেন, ‘আমরা একে অপরকে ভালোবাসি এবং এ সম্পর্ক নিয়ে আমরা খুশি।’