শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। বৃহস্পতিবার রাতে এশার পর তারাবির নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে রু হয় পবিত্র এই মাসের আনুষ্ঠানিকতা। আর শুক্রবার ভোরে সেহরি খেয়ে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা তাঁদের প্রথম রোজার রাখার নিয়ত করেছেন। রাজধানীজুড়ে সাধ্যমতো আয়োজনে সেহরি খাওয়ার আয়োজন করেছেন নগরবাসী। তবে মধ্যরাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সংকটে সেহরি তৈরিতে দুর্ভোগের কথা বলেছেন গৃহিণীরা। পবিত্র রমজান মাসে রোজাদারদের জন্য সেহরি খাওয়া সুন্নত। সিয়াম সাধনার এই মাসে নগরীর বাসায় বাসায় মধ্যরাত থেকে শুরু হয় সেহরি আয়োজনের পর্ব। দীর্ঘ সময় পানাহার থেকে বিরত থাকতে হবে। এ কারণে পুষ্টিকর ফলমূল, খাবার-দাবারের আয়োজন করে যার যার সাধ্যমতো। তবে সুস্থ-সবলভাবে রোজা রাখতে ফলমূল ও সহজপাচ্য খাবারের ওপর গুরুত্ব রোজদারদের।তবে মধ্যরাত থেকে রাজধানীর অনেক এলাকায় দেখা যায় গ্যাস সংকট। সেহরি প্রস্তুতিতে এ নিয়ে ভোগান্তির কথা বলেছেন গৃহিণীরা।প্রথম রোজায় রাজধানীজুড়ে কর্মজীবী মানুষও সেহরি খেয়েছেন হোটেল-রেস্তোরাঁ ও ফুটপাতে। বরকত ও রহমতের এই মাসে অধিক নেকি হাসিলের সুযোগে কর্মজীবী মানুষরা ভুলেছেন পরিবার-পরিজন ছাড়া সেহরির খাওয়ার কষ্ট।

এদিকে, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে প্রতিবছরের মতো এবারও পড়া হয়েছে খতমে তারাবি। এ ক্ষেত্রে দেশের সব মসজিদে বায়তুল মোকাররমের পদ্ধতি অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।‘চুলা জ্বলছে না! রাজধানীর আবাসিক এলাকা আজিমপুরে গ্যাসের তীব্র সঙ্কট। এই সমস্যা আগে ছিল দুপুরে। বর্তমানে সকাল, দুপুর ও রাতে সাংঘাতিক অবস্থা।’রাজধানীতে ভুক্তভোগী হাজার হাজার মানুষ রমজানের প্রথম দিনে তীব্র গ্যাস সঙ্কটের কারণে রান্না করা নিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়েন। গ্যাস সঙ্কটের কারণে রান্না করতে না পেরে কেউ কেউ বাইরের রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার কিনে খেতে বাধ্য হয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা জুড়ে গত দুই-তিনদিন যাবত গ্যাসের কিছুটা সঙ্কট থাকলেও বৃহস্পতিবার রাত থেকে তা চরম আকার ধারণ করেছে। ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর উভয় সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যে লালবাগ, আজিমপুর, সূত্রাপুর, খিঁলগাও, গেন্ডারিয়া, শান্তিনগর, মিরপুর, হাতিরপুলসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের তীব্র সঙ্কট চলছে।জানা গছে, চাহিদার তুলনায় গ্যাসের চাহিদা বেশি হওয়ায় সঙ্কট দেখা দিয়েছে। মেইন লাইনে প্রেসার কম থাকায় গ্যাসের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিগত বহু বছর যাবতই এ সঙ্কট চলছে। এছাড়া পুরোনো লাইন থাকার কারণে গ্যাস লিক হয়ে চাপ কমছে তাই গ্যাসের এই সংকট।বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।