স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন,দেশে কোনও ক্রসফায়ার হচ্ছে না। যা হচ্ছে বন্দুকযুদ্ধ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের জীবন বাঁচাতে বন্দুকযুদ্ধে বাধ্য হচ্ছে। মাদকের বিরুদ্ধে কোনও ছাড় নয়, জিরো টলারেন্স নীতিতে পুলিশ সামনের দিকে এগুচ্ছে।মঙ্গলবার (২২ মে) সচিবালয়ে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মাদকের কোনও চুনোপুঁটিদের ধরা হচ্ছে না। চুনোপুঁটিদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র থাকে না। যাদের ধরা হচ্ছে তারা মাদকের শীর্ষ ব্যবসায়ী। শতভাগ নিশ্চিত হয়ে এবং তথ্য-প্রমাণ হাতে নিয়ে নক করা হচ্ছে। যাদের নক করা হচ্ছে তারা কখনও কখনও পালিয়ে যাওয়ার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর গুলি ছোড়ে। তখন জীবন বাঁচাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এযাবৎ দুই হাজারের বেশি মাদক ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিচার করে কারাদ- দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ, সংসদ সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ, র‌্যাব, সাংবাদিক যারাই মাদকের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন তাদের ছাড় নয়। কক্সবাজারের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে মাদকের তথ্য-প্রমাণ চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, সংসদ সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা, নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা বা সাংবাদিক যেই হোক কাউকে ছাড় দেব না।

সরকারি দলের লোকদের ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না। আমাদের একজন সংসদ সদস্য আজকে কয় বছর থেকে জেলে আছে, জামিনও পায়নি। কাজেই আইন সবার জন্য সমান। আমরা আইনের বাইরে কাউকে আশ্রয়-প্রশয় দেই না, আপনারা নিশ্চিত থাকুন। আপনারা যান নাম উচ্চারণ করেছেন তার সম্পর্কে জানবার চেষ্টা করছি, জানছি, আপনারাও তথ্য দিন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।টেকনাফ-উখিয়ার আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বদির বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, আমরা কাউকেই ছাড় দিচ্ছি না। সে বদি হোক আর যেই হোক। সঠিক প্রমাণাদি আমরা যার বিরুদ্ধে পাচ্ছি আমরা তাকেই গ্রেফতার করছি। আমি আপনাকে নিশ্চয়তা দিতে পারি, সে সংসদ সদস্য হোক আর যেই হোক। তথ্য যেসব আসছে আমরা প্রমাণাদি জোগাড় না করে নক করছি না। তার বিরুদ্ধে কি কোনো প্রমাণ নাই- প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আপনাদের কাছে যদি প্রমাণ থাকে পাঠিয়ে দিতেৃ শুধু তার নয়, কারো বিরুদ্ধে যদি প্রমাণ থাকে আপনারা আমাদের কাছে পাঠান। আমাদের কাছে যাদের তথ্য-প্রমাণ আছে তাদের আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। সংসদীয় কমিটির তালিকায় বদির নাম থাকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আপানারা শুনে শুনে কথা বলছেন, অনুমান ভিত্তিক কথা বলছেন। আর আমরা তথ্য-প্রমাণভিত্তিক দেখছি। আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি, আমরা তথ্য-প্রমাণ ভিত্তিক কাজ করছি।সংসদ সদস্য হোক, সরকারের উচ্চপদস্থ যেই হোক, পুলিশ হোক যারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত তারা এবার ছাড় পাবে না- এই ম্যাসেজ কি ক্লিয়ার?এক সাংবাদিকের প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ম্যাসেজ ইজ ভেরি ক্লিয়ার। আমাদের প্রধানমন্ত্রী পরিস্কার নির্দেশনা যে এই