গত প্রায় পাঁচ মাস ধরে যার প্রতীক্ষায় বসে ছিল বিসিবি, সেই প্রোটিয়া কোচ গ্যারি কারস্টেন হতাশই করলেন! প্রথমবারের আলোচনায় বিসিবির প্রস্তাবে আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত ‘ডিরেক্টের অব কোচিং’ হতে রাজী হয়েছিলেন কারস্টেন। আইপিএলের একাদশ আসরের জন্য ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে এতদিন আসেননি। তার দল ব্যাঙ্গালুরুর বিদায়ের পর ২০ মে রাতে ঢাকা আসতে না আসতেই বদলে ফেললেন মত! তিনি শুধু বিসিবিকে কয়েকজন কোচের সন্ধান করে দিতে চান!

কারস্টেন বিসবিকে সোজাসুজি বলে দিয়েছেন, এই মুহূর্তে তার অন্যান্য যে ব্যস্ততা, তাতে বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপ পর্যন্ত ডিরেক্টর অব কোচিং পদে কাজ করা সম্ভব নয়। এই পদে কাজ করলে যে পরিমাণ সময় দিতে হবে সেটি তার হাতে নেই। তাহলে কতদিনের চুক্তিতে এলেন কারস্টেন? উত্তরটা আরও হতাশাজনক। তিনদিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। কোচ এবং কোচিং স্টাফ নিয়োগ যদি এই তিন দিনেই শেষ হয়; তাহলে তার সঙ্গে বিসিবির সম্পর্কও হবে এই তিন দিনের!

‘ডিরেক্টর অব কোচিং’ পদটির কাজ ছিল, জাতীয় দলের কোচ, কোচিং স্টাফ ঠিক করা থেকে শুরু করে বিশেষায়িত ক্যাম্পের জন্য বিশেষজ্ঞ কোচ আনা, একাডেমি ও অন্যান্য পর্যায়ের দলের অনুশীলন চাহিদা ঠিক করা ইত্যাদি ইত্যাদি।