কাশিমপুর কারাগারে বন্দি মায়ের কাছ থেকে শেষ বিদায় নিতে টিভি নাট্য অভিনেত্রী ও উপস্থাপিকা তাজিন আহমেদের লাশ বুধবার সকালে গাজীপুরের কারাফটকে নিয়ে যাওয়া হয়। কারাগার থেকেই মেয়েকে শেষ বিদায় জানান অভিনয়শিল্পী তাজিন আহমেদের মা দিলারা জলি।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. জাহাঙ্গীর কবির জানান, তাজিনের মা দিলারা বেগমের (৬২) বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির চারটি মামলা রয়েছে। ওই মামলায় গ্রেফতার হয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে ২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়। পরে ঢাকা জেলা দায়রা আদালতের বিচারক চারটি মামলার প্রতিটিতে তাকে এক বছর করে মোট চার বছরের সাজা দেন। গত ২০১৬ সালের ২৭জুলাই তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে পাঠানো হয়। তার সম্ভাব্য মুক্তির দিন হলো ২০১৯ সালের ২২অক্টোবর।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের জেলার সালমা বেগম জানান, কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বুধবার সকাল ৮টার দিকে তাজিনের লাশবাহী গাড়ি নিয়ে তার সহকর্মীসহ পাঁচজন গাজীপুরস্থিত কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের ফটকে নিয়ে আসেন। পরে তার লাশ মা দিলারা জলিকে (৬২) দেখানো হয়। এসময় মেয়ের লাশ দেখে মা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। প্রায় দুই বছর আগে তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে স্থানান্তরিত হন।

নাট্য পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী জানান, কাশিমপুর কারাগার থেকে তাজিনের লাশ ঢাকায় গুলশানের আজাদ মসজিদে নিয়ে আসা হয়। সেখানে জানাজা শেষে তাকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

প্রসঙ্গতঃ মঙ্গলবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাজিন আহমেদ ৪৫ বছর বয়সে ঢাকার উত্তরার একটি হাসপাতালে মারা যান। তার পৈত্রিক বাড়ি নোয়াখালীতে হলেও তিনি বেড়ে ওঠেন পাবনায় নানা বাড়িতে। মা দিলারা জলির প্রোডাকশন হাউজ ছিল। মায়ের হাত ধরেই তিনি অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন। গত শতকের ৯০ এর দশকের মাঝামাঝিতে টিভি অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি পান তাজিন। পরে তিনি উপস্থাপক হিসেবেও সুনাম অর্জন করেন।