মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েও এবার ২ লাখ ৬৮ হাজার ২২২ জন শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন করেনি; যাদের বেশিরভাগই ঝরে পড়বে বলে বোর্ড কর্মকর্তাদের আশঙ্কা।

১৩ থেকে ২৪ মে রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৭৫ জন শিক্ষার্থী কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করেছে।২৪ মে রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে যারা টাকা জমা দিয়েছে, তাদের শুক্রবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হবে বলে ঢাকা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক মো. হারুন-আর-রশিদ জানিয়েছেন।মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ১০৪ শিক্ষার্থী পাস করেছে। আর কলেজে ভর্তি হতে আবেদন করেছেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৭৫ জন। এর মধ্যে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৫৯৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।এই হিসেবে এবার মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েও ২ লাখ ৬৮ হাজার ২২২ শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে আবেদন করেনি।কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক হারুন বলেন, “যারা আবেদন করেনি, তাদের অনেকে ঝরে পড়বে। কেউ কেউ দেশের বাইরে পড়তে যাবে।কলেজ পরিদর্শক জানান, এবার ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৫৫১ জন অনলাইনে এবং ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮১ জন এসএমএসের মাধ্যমে কলেজে ভর্তির আবেদন করেছে।২৫ থেকে ২৭ মের মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবেদন যাচাই-বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি করা হবে। নীতিমালা অনুযায়ী ১০ জুন প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে বলে অধ্যাপক হারুন জানান।এবার ঢাকা বোর্ডের ৩ লাখ ৮১ হাজার ৮৪৮ জন (ময়মনসিংহ বোর্ডসহ), রাজশাহীর ১ লাখ ৪৩ হাজার ১৩৬ জন, চট্টগ্রামের ৯৩ হাজার ৭৩৩ জন, কুমিল্লার ১ লাখ ২৫ হাজার ৪৬৮ জন, যশোরের ১ লাখ ২০ হাজার ৯৮ জন, বরিশালের ৬৬ হাজার ১৮০ জন, সিলেটের ৬৮ হাজার ৫১৯ জন এবং দিনাজপুর বোর্ডের ১ লাখ ২০ হাজার ৮৭২ শিক্ষার্থী কলেজে ভর্তি হতে আবেদন করেছে।
এছাড়া মাদ্রাসা বোর্ডের ১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৯৬ জন, কারিগরি বোর্ডের ২৮ হাজার ৫৭ জন এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৫৯৩ শিক্ষার্থী একাদশে ভর্তির আবেদন করেছে বলে জানান ঢাকা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক।শিক্ষার্থীরা সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করতে পেরেছে। তবে মেধা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজে তার ভর্তির সুযোগ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।