খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি দুষ্টগ্রহ। এই দুষ্টগ্রহকে বাংলাদেশের মাটি থেকে বিতাড়িত করতে হবে। তারা ক্ষমতায় থাকতে দেশে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা ভাই, জঙ্গি সৃষ্টি করে। দেশকে মাদকের অভয়ারণ্যে পরিণত করে। আবার বিরোধী দলের থাকতেও মাদকসেবীদের পাশে দাঁড়ায়।
তিনি বলেন, বিএনপি মাদকের বিরুদ্ধে চলমান সাঁড়াশি অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তুলে-বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। এনকাউন্টারের সমালোচনা করে তারা মাদক সন্ত্রাসের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। রাজনীতি থেকে তাদের বিতাড়িত করতে না পারলে রাজনীতি আরও কলুষিত হবে।শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয়তলায় হলরুমে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের ১১৯তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।সিটি নির্বাচনে এমপিরা প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবে-নির্বাচন কমিশনের বিধি সংস্কার প্রসঙ্গে কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ। কারণ তারা একটি যুগোপযোগী একটা আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছেন। এতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে। বিএনপির হেভিওয়েট নেতারা প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারলেও আমাদের দলের (আওয়ামী লীগের) এমপিরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারতেন না। এতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে কিছু থাকত না। কিন্তু এখন বিধিটির খসড়া অনুমোদন হওয়ার পর এমপিরা প্রচারণায় অংশ নিতে পারবে। এ জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ।

খুলনার সিটি নির্বাচনের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। নির্বাচনীয় পর্যবেক্ষক, দেশের সব গণমাধ্যমে নির্বাচনের প্রশংসা করেছে। কেউ বিতর্ক তুলতে পারেনি। কিন্তু বিএনপি এই নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। তারা জন্মগত মিথ্যাচারের রাজনীতি করেন। বিএনপি মিথ্যাবাদীর দল।তিনি বলেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মতোই আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে নির্বাচনেও কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না।জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, কবি নজরুল ইসলাম ছিলেন সাম্যের কবি, দ্রোহের কবি, বিদ্রোহী কবি, প্রেমের কবি, বিরহের কবি। তিনি সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ছিলেন। অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালন করতেন। শোষণ-শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রচেষ্টায় তাকে জাতীয় কবি উপাধি দেয়া হয়। জাতীয় কবি যে লড়াই করেছেন, আমরা তার সংগ্রামকে এগিয়ে নেব। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলি। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়ি-এটাই হোক আজকের দিনের প্রত্যাশা।বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুক এমপি, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন, সাবেক এমপি ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক চিত্র নায়িকা সাহরাহ বেগম কবরি, আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান বিটু, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতি জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রনি, সংগঠনের নেত্রী রেহেনা পারভীন প্রমুখ।