নওগাঁর আত্রাই উপজেলা সহ জেলার এগারো উপজেলার মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কগুলোর অনেক অংশজুড়ে ধান মাড়াই, ধান-খড় শুকানো সহ খড়ের গাদা তৈরি করা হচ্ছে রাস্তার ওপর। ধানের পালা থেকে শুরু করে সড়কের দুই পাশের দুই-তৃতীয়াংশ দখল করে ধানের খড়কুটায় একাকার হয়ে আছে। ফলে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের যানবাহন দুর্ঘটনাকবলিত হয়ে পড়ছে। স্থানীয় এবং রাজশাহী,ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাসচালকরা গাড়ি চালাতে গিয়ে থাকেন দুর্ঘটনার আশঙ্কায়। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সড়কটি নিরাপদ রাখতে যেন কোথাও কোন কর্তৃপক্ষ নেই। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এতে নিয়মিত বেড়েই চলেছে দুর্ঘটনা । এইসব দুর্ঘটনায় আহতদের বেশিরভাগেরই হাতপা ভেঙ্গে গেছে।

বিশেষ করে বাইসাইকেল, ভ্যান,মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার ও অটোরিকশা,সিএনজি চলাচলে বেশি সমস্যা হচ্ছে। নওগাঁ – আত্রাই সড়কের সিএনজি- অটোরিকশা চালকরা জানান, সড়কে অনেক উঁচু করে ধানসহ বিভিন্ন ফসল কেটে এনে বিছিয়ে রাখা হচ্ছে। জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কেও ফসল শুকানো হচ্ছে। হঠাৎ বেক করলে চাকা পিছলে যায়। ওভারটেক করতে গেলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরো বাড়ে। তিন চাকার যান উল্টে যায়। মালবোঝাই গাড়ির নিয়ন্ত্রণ রাখা কঠিন হয়ে যায় বলে জানান ট্রাকচালক ফসিয়ার। নিয়মিত যাতায়াতকারীরা জানান, প্রায় কয়েক মাস ধরে এভাবে চলছে। গাছসহ ফসল পড়ে থাকায় গাড়ির চাকা যেমন এলোমেলো চলছে, তেমনি প্রচণ্ড ধুলা ও খড়কুটায় শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। বৃষ্টি হলে ফসলের অবশিষ্ট অংশ পচে সড়কগুলো আরো পিচ্ছিল হয়ে যায় ।

এইসব নিষেধ করতে গিয়ে পথচারীদের স্থানীয়দের হাতে মার খাওয়ার ঘটনাও ঘটছে। নড়াইলে ফসল শুকানো ও মাড়াইয়ের কাজে বাড়ির উঠোনের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে সড়ক-মহাসড়ক ও গ্রামীণ রাস্তা। এইসব বিষয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলা হলে তারা জানায়, সড়কে ফসল মাড়াই বা শুকানোর কারণে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আর পাকা রাস্তায় ফসল মাড়াই করা ও শুকানো খুব সুবিধা। গাড়ির চাকায় দ্রুত মাড়াই হয়ে যায়। শুকানোও যায় খুব দ্রুত। এ বিষয়ে আত্রাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন জানায়, এলাকার মানুষের ঘরবাড়ির জায়গা কম হওয়ার জন্য রাস্তায় কাজ করছে যদিও এইসব ঠিক না। এই কাজ গুলোর জন্য দূঘটনার সম্ভাবনা বেশী। এই কাজ সবার ভেতর ছড়িয়ে করার ফলে বন্ধ করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে।