১৩.১১.১১ প্রজ্ঞাপনের বন্দীদশায় থেকে কারিগরি শিক্ষকেরা যন্ত্রণার করাঘাতে তীল তীল করে বেছে আছে। “শিক্ষকরা জাতির কর্ণধার” মনে হচ্ছে, কথাটি মধ্যযুগীয় বেপার-সেপার তাই আজকের দিনে সেটা বলা কি আর শোভা পায়? কিন্ত এটা তো স্বীকার করতে হয় যে, “কাণ্ডারি যেমন শত অনিশ্চয়তা ও দূর্যোগের মধ্যে দিয়ে তার তরী গন্তব্যে পৌছায়, ঠিক তেমনি ভাবে শিক্ষকসম্প্রদায় তার ছাত্র-ছাত্রীদের নিদিষ্ট লক্ষ্যপানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।” যাদের উপর আজকের শিশুর দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়েছে, সমাজের দায়-দায়িত্ব অর্পিত। কিন্ত একি হাল তাদের? নিজের জীবন-তরীই তো আজ ডুবুডুবু, হালবিহীন নৌকার মত! তাদের এমন হাল হলে জাতিকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যপানে এগিয়ে নিয়ে যাবে কিভাবে?

১৩/১১/১১ প্রজ্ঞাপনের যাতাঁকলে পীষ্ট হয়ে এমপিও বঞ্চিতরা আজ হিমশিম খাচ্ছে তাদের জীবন যাত্রা নিয়ে। যখন প্রজ্ঞাপন জারি হলো তখন এমপিও ভুক্ত প্রতিষ্ঠানের, নন-এমপিও কারিগরি শিক্ষকেরা অন্তভুক্ত ছিল আর আজ যখন প্রজ্ঞাপন অকার্যকর হলো তখন কারিগরি শিক্ষকেরা এর বর্হিভূত রইলো –  জেনারেল কলেজ ও মাদ্রাসা’র জি.ও জারি হলো, হলো না শুধু কারিগরি’র।
এ কেমন শিক্ষা ব্যবস্থা? কারিগরি শিক্ষকদের প্রতি এ কেমন অবহেলা?

প্রজ্ঞাপনের জাঁতাকলে পিষ্ট সমগ্র কারিগরি শিক্ষকসম্প্রদায় তা জানতে চায়! আজকের শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে-দুমুঠো ডাল-ভাত খেয়ে দিনের পর দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে বেসরকারী স্কুল-কলেজের নিয়োগকৃত শিক্ষকদের পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষকবৃন্দ অথচ উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের প্রজ্ঞাপন শিথিল করা হলেও কারিগরি শিক্ষকদের উল্লেখ সেখানে নেই। কে শুনতে তাদের এই আকুতি? কে পূরণ করবে তাদের এ মিনতি?

#মাননীয়_শিক্ষামন্ত্রী_মহোদয় ও #মাননীয়_অর্থ_মন্ত্রী_মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন এমপিও প্রতিষ্ঠানে, নন-এমপিও কারিগরি শিক্ষকদের বিষয়গুলো বিবেচনাধীনে নিয়ে আসার জন্য। #জাতিরজনক_বঙ্গবন্ধু_শেখ_মুজিবর রহমান সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন, তার অসমাপ্ত স্বপ্ন গুলোকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে #জননেত্রী_শেখ_হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, সেজন্য উনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

লেখক-
এরশাদুল হক
প্রভাষক (ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা)
রৌমারী টেকনিক্যাল এন্ড বি.এম কলেজ। রৌমারী, কুড়িগ্রাম।