লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় মাদক বিরোধী অভিযানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নূর হাই (৩৫) নামে এক র্শীষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। রোবার রাত তিনটায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাতীবান্ধা ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক। এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের রমনীগঞ্জ গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটককৃত নূর হাই উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের রমনীগঞ্জ গ্রামে আব্দুস সোবহানের ছেলে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ওসি ওমর ফারুকের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের রমনীগঞ্চ গ্রামের জনৈক আবুল কালাম আজাদের বাঁশঝাড়ের কাছাকাছি পৌঁঁছালে ৫-৬জন মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের উপর ইট পাটকেল, লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ পুলিশের উপর আক্রমন করে। এতে ৩ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। তখন নিজেদের জানমাল এবং অস্ত্রগুলো রক্ষার স্বার্থে আমার নির্দেশে সঙ্গীয় ফোর্স ইস্যুকৃত শটগান থেকে পাঁচ রাউন্ড ফায়ার করে।ফায়ার শেষে মাদক ব্যবসায়ীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। গুলির শব্দে স্থানীয় লোকজন জড় হলে তাদের সহায়তায় ওই বাঁশঝাড়ে ১ জনকে আটক করা হয়। ডানপায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এবং তার সাথে একটি প্লাস্টিকের বস্তায় ৫০ বোতল ফেন্সিডিল, ৩৫ পিচ ইয়াবাসহ ঘটনাস্থলের ইটপাটকেল ও ১টি হাসুয়া জব্দ করা হয়। আটকব্যক্তি নূর হাই (৩৮) উপজেলার রমনীগঞ্জ গ্রামের আব্দুস সোবাহানের পুত্র বলে জানায়। সে সহ ৫/৬ জন মাদক ব্যবসায়ী কেনা বেচার জন্য মিলিত হয়েছিল বলে জানায়।

পরবর্তীতে তাকেসহ আহত ৩ পুলিশ সদস্যকে আহত অবস্থায় হাতীবান্ধা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এদের মধ্যে মাদক ব্যবসায়ী নূর হাইকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্মরত চিকিৎসক। হাতীবান্ধা থানার ওসি ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আটককৃত নূর হাই এর বিরদ্ধে স্থানীয় থানায় ৫টি মামলার মধ্যে মাদকের ৪টি মামলা রয়েছে। হাতীবান্ধা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নাঈম হাসান বলেন, ডানপায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নূর হাই নামে একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।