মুম্বাইয়ে দুই দিনের সভায় টেস্টে টসপ্রথা বাতিল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসির ক্রিকেট কমিটি। এ ছাড়া ক্রিকেট খেলুড়ে দলগুলো এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে ‘শ্রদ্ধার সংস্কৃতি’ পুনঃস্থাপন করতে আইসিসির প্রতি সুপারিশ করেছে কমিটি। বল বিকৃতির সঙ্গে জড়িত খেলোয়াড়দের কঠোরতর শাস্তির সুপারিশও করা হয়েছে।

টেস্টে টস থাকবে কি না, তা নিয়ে মুম্বাইয়ে এই মাসের শেষ দিকে আলোচনায় বসার কথা ছিল আইসিসির ক্রিকেট কমিটির। মঙ্গলবার সেই সভায় কমিটি টসের ভাগ্য নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্তই নিয়েছে। ম্যাচের আগে মুদ্রা নিক্ষেপের মাধ্যমে ব্যাটিং-বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়াকে ক্রিকেটের ‘অবি”েছদ্য অংশ’ হিসেবেই মনে করেছে অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন এই কমিটি। আর তাই টিকে গেল টসের ভাগ্য, অর্থাৎ টেস্টে টসপ্রথা বাতিল হচ্ছে না।মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় বেশ কিছু বিষয়ে সুপারিশ করেছে আইসিসির ক্রিকেট কমিটি। বল বিকৃতি এবং ক্রিকেটারদের মধ্যে ক্রীড়াসুলভ মানসিকতার অভাব দিন দিন বেড়েই চলছে। সভায় এ নিয়ে আলোচনায় ক্রিকেট খেলুড়ে দলগুলো এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে ‘শ্রদ্ধার সংস্কৃতি’ পুনঃস্থাপন করতে আইসিসির প্রতি সুপারিশ করেছে ক্রিকেট কমিটি।এ ছাড়া বল বিকৃতির সঙ্গে জড়িত খেলোয়াড়দের কঠোরতর শাস্তির সুপারিশও করেছে এই কমিটি।দুই দিনব্যাপী এই বৈঠকে অন্যতম আলোচনার বিষয় ছিল টস। টেস্টে স্বাগতিক দলগুলোর হোম কন্ডিশনের সুবিধা কমাতেই টসপ্রথা বিলোপের কথা ভেবেছিল ক্রিকেট কমিটি। কিš‘ আইসিসির এক বিবৃতিতে ক্রিকেট কমিটির সিদ্ধান্ত, ‘সফরকারী দলকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টস উপহার দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা করেছে কমিটি। কিš‘ এটা মনে হয়েছে, টস টেস্ট ক্রিকেটের অবি”েছদ্য অংশ এবং সেটা খেলাটির আখ্যান গঠনেরও অংশ।টস বাতিল না করলেও স্বাগতিক দলগুলোর হোম কন্ডিশনের সুবিধা নেওয়া নিয়ে আলোচনা করেছে কমিটি। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ মাথায় রেখে স্বাগতিক দলগুলো যেন মানসম্মত উইকেট প্রস্তুত করে, সে ব্যাপারেও একমত হয়েছেন কমিটির সদস্যরা। এ ব্যাপারে আইসিসির বিবৃতি, টেস্টের উইকেট যেভাবে বানানো হয়, তা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। কমিটি তাই সদস্যদের বলেছে, আইসিসির নিয়ম মেনে এমন উইকেট বানানোর প্রতি নজর দিতে, যেন ব্যাট-বলের ভারসাম্য বজায় থাকে।আইসিসির প্রধান নির্বাহী কমিটির কাছে পয়েন্ট ব্যবস্থা সংস্কারের সুপারিশও করেছে ক্রিকেট কমিটি। তাদের যুক্তি, সিরিজ জয়ের জন্য নয়, বরং প্রতিটি ম্যাচের জন্য পয়েন্ট থাকা উচিত।ক্রিকেট কমিটির এই সভায় উপস্থিত ছিলেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইক গ্যাটিং, শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ওপেনার ও ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন এবং কোচ মাইক হেসন।