কক্সবাজারের টেকনাফের ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরামুল হকের বন্দুকযুদ্ধে নিহতের ঘটনা একজন ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট যদি একরামের নিহত হওয়ার ঘটনাকে হত্যা হিসেবে নিশ্চিত করেন, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

শনিবার (২ জুন) সকালে ধানমন্ডির বাসায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেছেন।একরামের স্ত্রীর অডিও রেকর্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঘটনা যদি এ ধরনের ঘটেই থাকে, যদি প্রমাণ হয়, তাহলে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিচার হবে।তনি আরও বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কেউ যদি আইন অমান্য করে থাকেন, কেউ এ ধরনের ঘটনার সূত্রপাত করে থাকেন, তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।উল্লেখ্য, গত ২৬ মে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একরাম নিহত হন। এরপর র‌্যাব দাবি করে, একরাম একজন মাদক ব্যবসায়ী। তবে বৃহস্পতিবার টেকনাফে এক সংবাদ সম্মেলনে নিহত কাউন্সিলর একরামের স্ত্রী আয়েশা বেগম অভিযোগ করেন, বন্দুকযুদ্ধের নামে অন্যায়ভাবে তার স্বামীকে ‘হত্যা’ করা হয়েছে।

এদিকে, রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানের নামে কোনো পুলিশ সদস্য যদি নিরীহ মানুষকে হয়রানি করে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াশনিবার (২ জুন) দুপুরে রাজধানীর পল্টন কমিউনিটি সেন্টারে অসহায়দের ঈদের পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কাউকে একবিন্দু ছাড় দেওয়া হবে না। তবে নিরীহ লোকের ভয়ের কোনো কারণ নেই। ডিএমপি এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান বা জঙ্গিবিরোধী অভিযানের নামে কোনো নিরীহ লোককে হয়রানি করা হবে না। যদি করা হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, সারাদেশে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। মাদক আমাদের সন্তানদের ধ্বংস করে দিচ্ছে। আর এ জন্যই আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছি। মাদক ব্যবসায়ীরা যেই হোক, তাদের যে কোন মূল্যে বিচারের আওতায় আনা হবে। মাদকের সব আস্তানা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হবে তিনি বলেন, বিশ্ব যেখানে জঙ্গি দমন করতে পারেনি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ জঙ্গি দমন করতে পেরেছে। আমরা বলতে চাই, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই আমরা বাংলাদেশের মাটি থেকে এই মাদক নামের ক্যান্সারকে ধ্বংস করবো। মাদক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা তাদের ধরে নিয়ে আসবো। আপনাদের কাছে অনুরোধ কেউ মাদকের সঙ্গে যুক্ত হবেন না, কেউ মাদক সেবন করবেন না। তিনি বলেন, আজ পর্যন্ত ঢাকা শহরে কোনো ছিনতাই নেই, কোনো ডাকাতি নেই। কোনো অজ্ঞান পার্টি বা মলম পার্টি নেই। গভীর রাত পর্যন্ত মানুষ শপিংমলে কেনাকাটা করছে। কারণ আমরা রাত-দিন আপনাদের পাহারা দিচ্ছি।