লক্ষ্য ১৬৮ রান। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই লক্ষ্যটা খুব একটা বড় বলা যাবে না। কিন্তু এই রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ওপেনার তামিম ইকবাল ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের উইকেট হারিয়ে শুরুতেই যে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ, শেষ পর্যন্ত তা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি। আফগানদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২২ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। তাই সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪৫ রানে হেরে যায় লাল-সবুজের দল।

অবশ্য তৃতীয় উইকেট জুটিতে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস কিছুটা দৃঢ়তা দেখিয়েছিলেন। দুজনে মিলে সাময়িক বিপর্যয় এড়িয়ে ৪৩ রানের জুটিও গড়েছিলেন। কিন্তু এরপর লিটন (৩০) ফিরে গেলে আবার ধস নামে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি মুশফিকও(২০)।

দলের প্রয়োজন মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছেন সাব্বির রহমান। তিনি ফিরে যান প্রথম বলেই রশিদ খানের শিকার হয়ে। এরপর মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে চেষ্টা করেছিলেন, সৈকত দ্রুত ফিরে যান (১৪)।

এর পর মাহমুদউল্লাহ একা একপাশ আগলে রেখেছিলেন, কিন্তু দলের ইনিংসটাকে টেনে নিয়ে যেতে পারেননি খুব বেশিদূর। ২৫ বলে ২৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।

রাশিদ খান ও শাপুর জাদরান তিনটি করে উইকেট নিয়েই মূলত বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের কোমরটা ভেঙে দেন। মোহ্ম্মদ নবি নেন দুই উইকেট।

ভারতের দেরাদুনের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিং বেছে নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তাদের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। মাঝে কিছুটা খেই হারিয়ে ফেললেও শেষ পাঁচ ওভারে ৭১ রান তুলে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়ে আফগানরা, ১৬৭ রান।

উদ্বোধনীতে মোহাম্মদ শাহজাদ ও উসমান গনি ৬২ রানের জুটি গড়েন। বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মাঝখানে কিছুটা পিছিয়ে পড়ে তারা। তখন মনে হয়েছিল হয়তো খুব বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারবে না তারা। কিন্তু ম্যাচের ১৮তম ওভারে পেসার আবু জায়েদ রাহি ২০ রান দিলে সব হিসেবে পাল্টে যায়। আফগানরা গড়ে ফেলে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি।

বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ ও আবুল হাসান। এছাড়া সাকিব, রুবেল ও আবু জায়েদ তুলে নেন একটি করে উইকেট।