পাবনা শহীদ এম মনসুর আলী কলেজের দেড় শতাধিক শিক্ষক কর্মচারীরা বেতন বোনাসের দাবীতে বিক্ষোভ প্রর্দশন, ও শ্রেণী কক্ষে তালা ঝুলিয়ে কর্মবিরতি পালন এবং মানববন্ধন করেছে। কলেজের সভাপতি ও ভারপাপ্ত অধ্যক্ষের উদাসীনতায় শিক্ষক কর্মচারীরা তিন মাস বেতন পান না বলে অভিযোগ শিক্ষকদের। ঈদের বোনাস ও বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ সকল কর্মসুচী পালন করে তারা।

বিক্ষুদ্ধ শিক্ষক কর্মচারীদের অভিযোগ কলেজ পরিচালনা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে অসন্তোষ চলে আসছিল। সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহম্মদ নাসিম কলেজের এডহক কমিটি গঠনে তার মনোনীত ব্যাক্তিদের দিয়ে করার পরামর্শ দেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কলেজের ভারপাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ খান তার মনোনীত ব্যাক্তিদের দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করান। এই কমিটি অনুমোদনে অধ্যক্ষ এর উপর অসন্তোুষ্ঠ হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি কমিটি অনুমোদনের পরপরই সভাপতি ইদ্রিস আলী বিশ্বাসকে সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন। এ কারনেই প্রতিষ্ঠানের প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষক কর্মচারী তিন মাস যাবৎ বেতন বোনাস বন্ধ রয়েছে। তারা আরো বলেন- এই জুন মাসে বেতন বিলে সই না হলে তিন মাসের বেতন ফেরৎ চলে যাবে।

শিক্ষক প্রতিনিধি গোলাম মোস্তফা জালাল বলেন- এ ব্যাপারে অধ্যক্ষকে বারবার চাপ দিলেও তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। ভারপাপ্ত অধ্যক্ষ মো.আব্দুস সামাদ জানান- এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পাবরো না। কলেজের সভাপতি ইদ্রিস আলী বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি মুঠো ফোন রিসিপ করেননি। উল্লেখ্য, এই ঔতিহাসিক কলেজটি স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এর বাবা সাবেক প্রধান মন্ত্রী, জাতীয় নেতা, শহীদ ক্যাপটেন এম মনসুর আলীর নামে প্রতিষ্ঠিত। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং ম্যানেজিং কমিটির জটিলতার কারনে কলেজটি ধ্বংস হবার পথে।