জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব। বুধবার রাত ১১টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এর আগে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ থেকে র‍্যাব-৩ এর সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে যান। র‍্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. এমরানুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ইমরানকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

কী বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ইমরানের কাছ থেকে তথ্য নিয়েছি। সেগুলো তদন্ত করে দেখব। এর আগে এমরানুল হাসান জানিয়েছিলেন, অবৈধভাবে জনসমাবেশ করায় ইমরানকে আটক করা হয়েছে। তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরপর সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানানো হবে। মাদকবিরোধী অভিযানের নামে ‘দেশব্যাপী বিনা বিচারে মানুষ হত্যা’র প্রতিবাদে বিকালে শাহবাগে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে গণজাগরণ মঞ্চ।

পূর্বঘোষিত সমাবেশ করতে জড়ো হন গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। এ সময় ‘নির্বিচারে মানুষ খুনের বিরুদ্ধে জাগো বাংলাদেশ’ স্লোগান দেন তারা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত গণজাগরণ মঞ্চের সদস্যরা জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে যোগ দিতে ইমরান এইচ সরকার বিকাল ৪টার সময় আসেন শাহবাগে। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে একটি মাইক্রোবাসে সাদা পোশাকে ৭-৮ র‌্যাব সদস্য ‘একটু যেতে হবে’ বলে এইচ সরকারকে তুলে নিয়ে যায়।

এ সময় র‌্যাবের চারটি গাড়িও সেখানে উপস্থিত হয়। গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা বাধা দিতে গেলে র‌্যাব সদস্যরা লাঠিপেটা করলে কয়েকজন আহত হন। তাদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ইমরান এইচ সরকারকে তুলে নিয়ে যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে সাংস্কৃতিক কর্মী সঙ্গীতা ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এখানে কথা বলতে এসেছিলাম। কিন্তু ইমরান এইচ সরকারকে এভাবে তুলে নিয়ে যাবে এটা ঠিক নয়।

ইমরানকে আটকের পর র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান ইমরানকে তুলে নেয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, র‌্যাব-৩ তাকে অ্যারেস্ট করেছে। কোন মামলায় তাকে অ্যারেস্ট করা হয়েছে তা আধাঘণ্টা পর জানানো সম্ভব হবে।