ময়মনসিংহ শহরের গাঙ্গিনারপাড় এলাকায় অবস্থিত হকার্স সুপার মার্কেটে বৃহস্পতিবার অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে মার্কেটের শতাধিক দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।হকার্স মার্কেট মালিক সমিতির সূত্রে জানান যায়, মার্কেটের ভেতর ১৫০টির মতো দোকান ছিল। এগুলোর মধ্যে বেশির ভাগ কাপড় ও জুতার দোকান। এ ছাড়াও ছিল কয়েকটি প্রসাধন সামগ্রীর দোকান। মার্কেটের গলির ভেতর ছিল বেশি কিছু মেশিনারি দোকান ও দুটি পেট্রলের দোকান।পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে মার্কেট থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সকাল সোয়া সাতটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কিন্তু আগুনের ভয়াবহতায় আশপাশের উপজেলা থেকেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। মোট আটটি ইউনিটের চেষ্টায় সকাল নয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে বেলা সোয়া এগারোটায় এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও মার্কেটের ভেতর থেকে হালকা ধোঁয়া বের হচ্ছিল।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে মার্কেটের দোকানের কর্মী ও মালিকেরা ভেতরে প্রবেশ করেন। তাঁরা দোকানগুলোর শাটার ভেঙে ভেতরে আগুন নেভানোর কাজ করে।আগুন লাগার খবর পেয়ে মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ও তাঁদের অনেকের পরিবারের সদস্যরা ছুটে আসেন। এ সময় ব্যবসায়ীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। জজ মিয়া নামের একজন দোকান মালিক কাঁদতে কাঁদতে বলেন, মার্কেটে আমার একটা কাপড়ের দোকান। ঈদের জন্য আট লাখ টাকা ঋণ নিয়ে নতুন মালামাল এনেছি। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মোট আটটি ইউনিটের চেষ্টায় সকাল নয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।ব্যবসায়ীদের ধারণা অন্তত ১৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল হক বলেন, ঈদকে সামনে রেখে সব ব্যবসায়ীই দোকানে নতুন মালামাল এনেছিল। অনেকই টাকা ঋণ করে মালামাল আনে। আগুনে সবাই নিঃস্ব হয়ে গেছেন।ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক শহীদুর রহমান ঘটনাস্থল থেকে বলেন, আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে বিস্তারিত জানানো হবে।ঘটনাস্থলে যান ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মহসীন উদ্দিন। মহসীন উদ্দিন বলেন, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পর আমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিব। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেই এ ব্যবস্থা করা হবে।