নিজের নিরাপত্তা নিয়ে বরাবরই চিন্তায় থাকেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উন৷ প্রাণসংশয়ে তিনি যান না দেশের বাইরে৷ এমনকী যোগ দেন না জাতিসঙ্ঘের বৈঠকেও৷ তবে নিরাপত্তার ইস্যুতে কেবলমাত্র চীনকেই চোখ বন্ধ করে ভরসা করেন তিনি৷ আর সেই ভরসার জায়গা থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আসন্ন বৈঠকেও তিনি সঙ্গী করেছেন লাল চীনকে৷ সূত্রের খবর, যখন দেশীয় বিমানে সওয়ার হয়ে কিম সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে যাবেন, তখন তার বিমানকে কড়া প্রহরা দিয়ে নিয়ে যাবে চীনা বিমানবাহিনীর অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান৷ আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়াশিংটনের কাছে পিয়ংইয়ংয়ের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট অস্বস্তিকর৷

হংকং-এর একটি সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, আগামী ১২ জুন হতে চলা ঐতিহাসিক বৈঠকের আগেই উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশে তাদের বিমানবাহিনীর একটি বিমান পাঠাতে চলেছে চীন৷ নর্থ কোরিয়া এয়ারফোর্স ওয়ানের সঙ্গে কিমের নিরাপত্তা বলয়ে যোগদান করবে সেই চীনা বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিমানটিও৷ এর ফলে কেবল কিমের নিরাপত্তা জোরদারই হবে না৷ পাশাপাশি ওয়াশিংটন ও সিওলকে বার্তা দেয়া যাবে বেইজিং ও পিয়ংইয়ং-এর জোট কতটা মজবুত৷

২০১১-তে ক্ষমতায় আসার পর চলতি বছরেই প্রথম বিদেশ সফর করেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উন৷ তাও গিয়েছেন আপন বন্ধু চীনে৷ নিজের সবুজ রঙের ব্যক্তিগত ট্রেনে চড়েই চিনে যাত্রা করেছিলেন তিনি৷ বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি সেই ট্রেনে পারমাণবিক বিস্ফোরণেও যে কেউ কয়েক ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারবেন। ওই ট্রেন থেকেই আস্ত একটা দেশ বা সরকার চালানো যায়। এমনই সব অত্যাধুনিক ও চমকপ্রদ ব্যবস্থা রয়েছে তাতে। নিজের গাড়ি, জাহাজ, কপ্টার, ট্রেন ছাড়া কোনো কিছুতেই তিনি চড়েন না। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কিমের বৈঠক হচ্ছে উত্তর কোরিয়া থেকে প্রায় চার হাজার কিলোমিটার দূরে সিঙ্গাপুরে৷ এই পথ কেবলমাত্র বিমানেই যাওয়া সম্ভব৷ কিন্তু সে ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় ছিল উত্তর কোরিয়া৷ তবে চীনা বিমানবাহিনীর অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান কিমের সফর সঙ্গী হওয়ায় সেই চিন্তা কিছুটা লাঘব হচ্ছে বলে স্বীকার করে নিচ্ছে পিয়ংইয়ং৷