রাজধানীর যানজট নিরসনে বাংলাদেশ প্রথম পাতাল রেল নির্মিত হতে যাচ্ছে। যার রুট হবে হযরত শাহজালাল (রা:) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-খিলক্ষেত-কুড়িল-যমুনা ফিউচার পার্ক-বাড্ডা-রামপুরা-মালিবাগ-রাজারবাগ-কমলাপুর এবং কুড়িল হতে কাঞ্চন সেতুর পশ্চিম পাশ পর্যন্ত। এর মোট দৈর্ঘ্য হবে ২৬ দশমিক ৬০ কিলোমিটার।

স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান। তিনি জানান, এমআরটি লাইন-১ এর জন্য স্টেশন থাকবে ১৭টি। যেসব জায়গায় থাকবে স্টেশন বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, কুড়িল, নর্দা (যমুনা ফিউচার পার্ক), নতুন বাজার, বাড্ডা, হাতিরঝিল, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ, কমলাপুর এবং কুড়িল, বসুন্ধরা, মাস্তুল, পূর্বাচল পশ্চিম, পূর্বাচল সেন্টার ও পূর্বাচল টার্মিনাল।

মন্ত্রী জানান, রাজধানীর যানজট নিরসনে ও বৃহত্তর ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থাকে সুষ্ঠ, পরিকল্পিত, সমন্বিত ও আধুনিকায়ন কারার লক্ষ্যে মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এই মেগা প্রকল্পটি ৫টি রুটের মাধ্যমে নগরবাসীর সেবা দেবে। এরমধ্যে এমআরটি লাইন-৬ এর কাজ ৮টি প্যাকেজের আওতায় কাজ চলছে। তাছাড়া আরো দু’টি এমআরটি লাইন-১ এবং এমআরটি লাইন-৫ নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্য সমীক্ষার কাজ চলছে। সংসদে মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, এমআরটি লাইন-১ নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলমান আছে। বিস্তারিত নকশা প্রণয়নের জন্য ২০১৭ সালের ২৯ জুন উন্নয়ন সহযোগি সংস্থা জাইকার সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সরকারের গৃহীত মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, সড়কে মৃত্যু ঠেকাতে প্রচলিত ট্রাফিক আইন পরিবর্তন করে যুগোপযোগি ’সড়ক পরিবহণ আইন-২০১৭’ প্রণয়নের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অপর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, মেট্রোরেল প্রকল্পের মেয়াদ ২০১২ জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।তিনি জানান, প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। সে মোতাবেক ২০১৯ সালের মধ্যে উত্তরা ৩য় পর্ব হতে আগারগাঁও পর্যন্ত এবং ২০২০ সালের মধ্যে মতিঝিল পর্যন্ত চালু করা