সৌদি আরবের মক্কা নগরীর পবিত্র কাবা শরীফের পাশের হারাম শরীফ মসজিদের তিনতলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ফ্রান্সের এক নাগরিক। শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। খবর আরব নিউজ, দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। এ নিয়ে মক্কা পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, বিদেশি ওই নাগরিক ৮ জুন শুক্রবার রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে লাফ দেয়। আর ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। সৌদি আরব থেকে আমীর চারু জানিয়েছেন, শুক্রবার এশার নামাজের পর পবিত্র কাবা শরীফ চত্বরে এক ফ্রান্সের নাগরিক লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছে। ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যাকারী যুবক মানসিক চাপে‌ ভুগছিলেন ।

উমরারত প্রত্যক্ষদর্শী শামীম শেখ জানান – এশার নামাজের সালাম ফেরানোর পরপরই হারাম শরীফের তিনতালার রেলিং টপকে চিৎকার করতে করতে নিচে লাফিয়ে পড়েন ঐ যুবক, এবং ঘটনা স্থলেই মৃত্যু হয় তার । লাফিয়ে পড়ার জায়গাটা কিছুটা ফাঁকা থাকায় অন্য কেউ আহত হয়নি ।

আরব নিউজ পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে- যে আত্মহত্যাকারী ব্যক্তির বয়স ২৬ বছর এবং তিনি ফ্রান্সের নাগরিক। সাম্প্রতিক তিনি মুসলিম হয়ে পবিত্র উমরাহ পালন করার উদ্দেশ্যে সৌদিতে এসেছিলেন। কাবা শরীফ থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত ক্যামেরায় যুবকের লাফিয়ে পড়ার দৃশ্য ধরা পড়েছে, ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে কান্নারত অবস্থায় সে তিন তলার রেলিং টপকে নিচে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

সৌদি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই আত্মহত্যার ঘটনা তদন্ত করছে। এই ঘটনার পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা বা নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি আছে কি না তা তদন্ত শেষে জানা যাবে। ইসলামে আত্মহত্যা নিষিদ্ধ, এটাকে মহাপাপ হিসেবে অভিহিত করা হয়ছে । পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে মক্কার একটি হিমাগারে মৃতদেহটি সংরক্ষণ করে রেখেছে । কাবা ঘরের ছাদ থেকে কেউ যাতে না পড়ে যায় সেজন্য চারদিকে শক্ত উঁচু দেয়াল দেয়া রয়েছে। তারপরও কীভাবে এ ঘটনা ঘটলো তা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কাবা শরীফ সৌদি আরবের মক্কা শহরের মাঝখানে অবস্থিত। ইসলাম ধর্মমতে কাবাকে সবচেয়ে পবিত্র স্থান হিসেবে মনে করা হয়। এটি মুসলমানদের কিবলা অর্থাৎ যে দিকে মুখ করে নামাজ পড়ে বা সালাত আদায় করে, পৃথিবীর যে স্থান থেকে কাবা যে দিকে মুসলমানগণ ঠিক সে দিকে মুখ করে নামাজ পরেন। হজ্জ ও উমরা পালনের সময় মুসলমানগণ কাবাকে ঘিরে তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ করেন।