স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, আগামী সেপ্টেম্বরেই ৫শ’ বেডের বিশেষায়িত ‘শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’-এর যাত্রা শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্ম মাসেই তাঁর নামে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট চালু করা হবে। এখানে আগুনে পোড়া রোগীদের অত্যাধুনিক চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে।

রবিবার দুপুরে রাজধানীর চানখারপুলে নবনির্মিত এই ইন্সটিটিউট পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা জানান। পরিদর্শনকালে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বাবলু কুমার সাহা, জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ড. সামন্ত লাল সেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিনসহ সেনাবাহিনী ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এই বার্ন ইন্সটিটিউটেই চিকিৎসক ও নার্সদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। ভবিষ্যতে এখান থেকেই আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে বিকৃত চেহারা সুন্দর চেহারায় রূপান্তর করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছে। এখানে ভাগ্যাহত মানুষের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন করা হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অত্যন্ত দক্ষতা ও দ্রুততার সঙ্গে ইনস্টিটিউটটি নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করছে। আমাদের সৌভাগ্য যে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় বার্ন ইনস্টিটিউট আমাদের দেশে হচ্ছে।২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় এ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৬’র এপ্রিলের ৬ তারিখ চানখাঁরপুলে ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করে নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের ৩ মাস আগেই কাজ শেষ হবে। দুই তলা বেইজমেন্টসহ মোট ১২ তলা বহুতলা ভবন হবে তিনটি ব্লকে। একটি ব্লকে বার্ন, একটিতে প্লাস্টিক ও অন্যটিতে অ্যাকাডেমিক ভবন হচ্ছে। বর্তমানে কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। যারা অগ্নিদগ্ধ হয় বা দুর্ঘটনার স্বীকার হয়, তাদের জন্যই নির্মাণ হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট এই বার্ন ইন্সটিটিউট।