কোন দল নির্বাচনে না এলেও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষায় যথাসময়ে নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সময় রোববার (১০ জুন) সন্ধ্যায় কানাডার টরেন্টোতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংবর্ধনায় একথা বলেন তিনি। বিএনপি নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দুর্নীতি ও মানুষ হত্যা করলে কারাভোগ করতেই হবে। বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ব্যাপারে সরকারপ্রধান বলেন, জাতির পিতার খুনি নুর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকর করতে পারলে জাতি অভিশাপমুক্ত হবে।

স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আওয়ামী লীগ প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। পরে প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তার বক্তব্যে ৭৫’ পরবর্তী সরকারগুলোর অনিয়ম আর দু:শাসনের কথা উঠে আসে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার খুনিদের বিচার না করে উল্টো বিচারের সবপথ বন্ধ করে দেয়ার অপচেষ্টা করেছিল তৎকালীন সরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সেই সময়ের সরকার আমাকে দেশে ফিরতেও দেয়নি। খুনিদের বিচার করা যাবে না। আইন করে দিয়েছে, তাদেরকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল। যে সকল যুদ্ধাপরাধী সাজাপ্রাপ্ত ছিল তাদের বিচার কাজ বন্ধ করে মুক্তি মন্ত্রী বানিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে কারাগারে সাজা-ভোগ করা বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রসঙ্গ উঠে আসে। তিনি বলেন, দুর্নীতির দায়ে কেউ সাজা ভোগ করলে সরকারের কিছুই করার নেই। শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি প্রমাণ করতে পারে নেই, তাদের নেত্রী (বেগম খালেদা জিয়া) ওই এতিমের টাকা চুরি করেন নেই। কোর্টে রায় হয়েছে, রায় অনুযায়ী তাকে গ্রেফতার হয়েছে। এখানে সরকারের কী-আছে?

আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় রক্ষা গিয়েছিল বলে দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের অভিযাত্রা। অগ্রগতি এই ধারায় অব্যাহত রাখতে আসছে নির্বাচনেও কারো নির্বাচনে কারও জন্য অপেক্ষা করা হবে না জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, কেউ যদি রাজনৈতিক ভুল করে, সেই খেসারত এই দেশের জনগণ কেন দেবে। সেই ভুলের খেসারত দিতে গিয়ে বাংলাদেশের মানুষ কেন পুড়ে মারা যাবে? এটা তাদের নিজেদের সিদ্ধান্তে তারা কী করবে-করবে না। আজকে দেশের যে উন্নয়নের ধারা শুরু হয়েছে, সেটা আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে।’

এর আগে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টায় দেশটির কুইবেক প্রদেশে ল্যা শ্যাতো ফতেনেক হোটেলে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। একান্ত ওই বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট, সমুদ্র অর্থনীতিসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন দুই সরকারপ্রধান।